সুজন কৈরী: রাজধানীর খিলক্ষেতে নিকুঞ্জের একটি বাসায় রোফিকা রুমা ইতি (২৬) নামের এক তরুণীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার ভোর পৌনে ৬টার দিকে অচেতন অবস্থায় ইতিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ইতির পরিবারের দাবি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে তার স্বামীর দাবি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে ইতি।
ইতির বাবার নাম মৃত রফিকুল ইসলাম। গ্রামের বাড়ি বগুড়ার শিবগঞ্জের গণকপাড়ায়। ইতির স্বামী জামাল হোসেন ও ছেলে এহসান হোসেন ইজাজকে (৪) সাথে নিয়ে নিকুঞ্জ-২ জামতলা টানপাড়া মতিউর রহমানের দোতলা বাড়ির নিচ তলায় ভাড়া থাকতেন। সাড়ে ৫ বছর আগে আতি ও জামালের বিয়ে হয়। স্বামী জামাল একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন।
জামাল হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে খাবার খাওয়ার পর পারিবারিক ছোট বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে ইতি বাসা থেকে বেরিয়ে যেতেও চায়। তবে তাকে বাধা দেয়া হয়। এরপর রাত ২টার দিকে আমি ঘুমিয়ে পড়ি। রাত সাড়ে ৩টার দিকে হঠাৎ ঘুম ভাঙার পর বিছানায় ইতিকে দেখতে পাইনি। পরে বারান্দায় গিয়ে গ্রিলের সাথে হিজাব দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাকে দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ইতির বড় ভাই সময় টেলিভিশনের স্পোর্টস ডেস্ক ইনচার্জ হুমায়ুন কবির রোজ বলেন, আমার বোন মানসিকভাবে খুবই শক্ত ছিল। স্বামীর বাড়ির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে বারান্দায় গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মরদেহ হাটুগেড়ে ফ্লোরে বসা ছিল, তাদের পারিবারিক কিছু সমস্যা হচ্ছিল। ইতি আত্মহত্যা করেছে তা বিশ্বাসযোগ্য নয়। বিষয়টি রহস্যজনক। তাকে হত্যা করা হয়েছে।
খিলক্ষেত থানার এসআই আব্দুস ছামাদ জানান, সুরতহালে মরদেহের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তার গলায় অর্ধচন্দ্রাকৃতির দাগ পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।