ডেস্ক রিপোর্ট : বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদের স্মৃতিতে নির্মিত ‘আট স্তম্ভ’ ভেঙে ফেলায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আবরারের স্মৃতিস্তম্ভ ভাঙাকে পৈশাচিক ঘটনা বলে উল্লেখ করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ তাদের আগের চরিত্র থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। যাদেরকে খুশি করার জন্য আবরারকে হত্যা করা হয়েছে, সে আধিপত্যবাদেরা এখনও সক্রিয়। তাদেরকে খুশি করার জন্যই আবরারের স্মৃতিস্তম্ভটি ভাঙা হয়েছে।’শিক্ষাঙ্গনে ঢুকে সেখানে মেধাশূন্য করায় যারা সক্রিয় রয়েছে তাদেরকে চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনারও দাবি জানান জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর বুয়েটের শেরে বাংলা হলে ছাত্রলীগের একদল সন্ত্রাসীরা নিমর্মভাবে পিটিয়ে আবরার ফাহাদকে হত্যা করে। মঙ্গলবার আবরার হত্যার এক বছর পূর্ণ হয়েছে। এদিন সকালে রাজধানীর পলাশী চত্বরে আবরার ফাহাদের স্মৃতিতে ভারতীয় আগ্রসন বিরোধী ‘আট স্তম্ভ’ নির্মাণ করে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন ছাত্র অধিকার পরিষদ। স্তম্ভটি স্থাপনের ১২ ঘণ্টা না হতেই সেটি ভেঙে ফেলা হয়।
স্তম্ভটি ভেঙে ফেলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন আবরার ফাহাদ স্মৃতি সংসদের আহ্বায়ক ও ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন। তিনি বলেন, ‘কোনও দেশপ্রেমিক আবরার ফাহাদের স্মৃতি ভাঙতে পারে না। আমরা এর নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি। স্তম্ভটি যারা ভেঙে দিয়েছে, তাদের পুনরায় নির্মাণের দাবি জানাই। তারা না করলে আবারও ছাত্রজনতাকে সঙ্গে নিয়ে আমরা নির্মাণ করবো।’
জানতে চাইলে ঢাকা-২৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান বলেন, ‘কিসের স্তম্ভ তৈরি করা হয়েছে, তাই তো জানি না। স্তম্ভ করতে হলে সিটি করপোরেশনের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু এটা কখন করলো, না করলো এটা আমার জানা নেই।’
পূর্বপশ্চিমবিডি
আপনার মতামত লিখুন :