লিহান লিমা: [২] মার্কিন কবি লুইস গ্লুককে এবারের সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী ঘোষণা করে নোবেল কমিটি জানায়, তার অসামান্য নির্ভূল কাব্যিক কণ্ঠের দৃঢ় সৌন্দর্য যা ব্যক্তির অস্তিত্বকে সার্বজনীন করে তোলে। নোবেল ওআরজি
[৩] ১৯৯৩ সালে টনি মরিসনের পর প্রথম আমেরিকান নারী হিসেবে এই সম্মাননা অর্জন করলেন গ্লাক। ১৯৯৩ সালে পুলিৎজার পুরস্কার এবং ২০১৪ সালে ন্যাশনাল বুক অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন গ্লুক।
[৪] ১৯৬৮ সালে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘ফার্স্টবর্ন’ প্রকাশিত হয়। তিনি ১২টি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করেছেন এবং কাব্যিক প্রবন্ধ লিখেছেন। তার লেখনিতে পৌরাণিক ও শাস্ত্রীয় ঘরানার প্রভাব দেখা যায়। লুইস গ্লুকের অনবদ্য কবিতাগুলোতে বাল্যকাল, পারিবারিক জীবন, বাবা-মা ও ভাই- বোনের সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক উঠে এসেছে। স্পষ্টবাদিতা, কৌশলের অভিনবত্ব ও স্পর্শকাতরতা তার কবিতার অস্থিমজ্জায়, যা শিল্পগত ভিন্নতা তৈরি করেছে।
[৫] লুইসের পুলিৎজার বিজয়ী গ্রন্থ ‘স্লোড্রপস’। ‘দ্য ওয়াইল্ড আইরিশ’ এ কবি শীতের পরে জীবনের আলৌকিক প্রত্যাবর্তনের বর্ণনা দিয়েছেন। ২০০৬ সালে প্রকাশিত তার ‘আওয়ারানো’ গ্রন্থটি মৃত্যুর দেবতা হেডসের বন্দি থাকাকালীন দেবী পার্সিপোনির পৌরাণিক কাহিনীর ব্যাখ্যা দিয়েছে। ২০১৪ সালে ‘ফেইথফুল এন্ড ভারচুস নাইট’ নামে সর্বশেষ সংগ্রহটি প্রকাশ করেন তিনি।
[৬] যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক লুইস গ্লুক। জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪৩ সালে নিউইয়র্কে। বর্তমানে ক্যামব্রিজে বসবাস করছেন। সম্পাদনা: ইকবাল খান