রাশিদুল ইসলাম : [১] কোভিড ভাইরাসের পরিবার অনেক বড় বলে তারা কেউ সর্দি-কাশির সংক্রমণের জন্য দায়ী, কেউ ফুসফুসের সংক্রমণ ঘটায়, শ্বাসযন্ত্রের অন্যান্য রোগও হয়। শরীরে ভাইরাস ঢুকলে তার বিরুদ্ধে এক সুরক্ষা কবচ তৈরি হয়। গবেষকরা বলছেন শরীরের এ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বরং কোভিডকে কিছুটা হলেও ঠেকাতে পারবে।
[২] কোভিড মানুষের শরীরে দ্রুত সংক্রামিত হতে পারে। এর সংক্রমণে শ্বাসযন্ত্রের জটিল রোগ সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটারি সিন্ড্রোম হয় যা অন্যান্য করোনাভাইরাসদের দ্বারা সম্ভব নয়।
[৩] যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন মেডিক্যাল সেন্টার ও বোস্টন ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের গবেষকরা ‘ক্লিনিকাল ইনভেস্টিগেশন’ সায়েন্স জার্নালে বলছেন, করোনা পরিবারের বাকি সদস্যেরা মামুলি সর্দি-কাশি ঘটাতে পারে যাকে ‘কমন কোল্ড’ বলা হয়। কোনও ব্যক্তি এমনই কোনও করোনাভাইরাসের সংক্রমণে সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হলে তার কোভিড জটিলতা কিছুটা হলেও কম হবে। অন্তত রোগের তীব্রতা কম হবে।
[৪] ২০১৫ সালের ১৮ মে থেকে গত ১১ মার্চ পর্যন্ত যেসব রোগীর শ্বাসযন্ত্রের পরীক্ষা হয়েছে, তাদের মেডিক্যাল রিপোর্ট খতিয়ে দেখেই এই তথ্য দিয়েছেন গবেষকরা। খুব শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নয়, করোনাকে ঠেকানোর মতো ইমিউনিটি আছে তাদের শরীরে। এর কারণ করোনা পরিবারের সব সদস্যদেরই জিনের গঠনে মিল রয়েছে।
[৫] আলফাকরোনা ও বিটাকরোনার জিন পাওয়া গিয়েছিল বাদুর ও ইঁদুরের মধ্যে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই বিটাকরোনাভাইরাস মানুষের শরীরে রোগ তৈরির জন্য দায়ী। তাদের জেনাস আবার পাঁচ ভাগে বিভক্ত।