ডেস্ক রিপোর্ট: চলতি বছরের শুরুতে মিসরের সাক্কারা অঞ্চলে ৫৯ টি মমির কফিন পাওয়া গিয়েছিল। শনিবার (৪ অক্টোবর) দর্শকদের সামনে সেগুলো থেকে একটি কফিনের ঢাকনা খুললেন পুরাতত্ত্ববিদরা। আড়াই হাজার বছর আগে যে কফিনগুলো সিল করে দেওয়া হয়েছিল, তার ঢাকনা খুলতেই দেখা গেল মমি। কফিনগুলোতে পুরোহিত ও যাজকদের মৃতদেহ সংরক্ষণ করা আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কফিন খোলা দেখতে ভিড় জমিয়েছিল কয়েক হাজার মানুষ। মোবাইলের ক্যামেরায় সেই ছবি তুলেছেন অনেকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও।
সাক্কারা অঞ্চলে প্রাচীনকালে ছিল বিশাল সমাধিক্ষেত্র। মিসরের প্রাচীন শহর মেমফিসের বাসিন্দাদের কবর দেওয়া হত সেখানে। অহ্ছলটিতে বেম কয়েকটি বিখ্যাত পিরামিড রয়েছে। এই অঞ্চলটিকে ১৯৭০ সালে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসাবে গৌষণা করে।
মিসরের পর্যটন দপ্তর জানিয়েছিল, সাক্কারায় ৫৯ টি কাঠের কফিন পাওয়া গিয়েছে। কফিনগুলো যথেষ্ট ভাল অবস্থায় আছে। প্রতিটি কফিনের ভেতরেই আছে মমি। প্রাচীন মিসরের পুরোহিত ও অন্যান্য অভিজাতদের মৃতদেহ মমি করে ওই কফিনগুলোতে রাখা হয়েছিল। শনিবার একটি কফিন খুলতেই দেখা যায়, ভিতরে মমির গায়ে বিশেষ ধরনের ‘বেরিয়াল ক্লথ’ জড়ানো। এছাড়া মমির দেহে রয়েছে নানা অলংকার।
সুপ্রিম কাউন্সিল অব অ্যান্টিকুইটিসের সেক্রেটারি জেনারেল মোস্তফা ওয়াজিরী বলেন, 'আমরা এই আবিষ্কারে খুব খুশি। কফিনগুলো ভেতরের মমিগুলো নিখুঁত অবস্থায় রয়েছে। এই আবিষ্কারটি মিসরের গবেষকদের জন্য শতাব্দীর সেরা উপহার।'
কফিনগুলো গিজায় 'নিউ গ্র্যান্ড ইজিপশিয়ান মিউজিয়ামে' রাখা হবে। দর্শকরা সেখানে গিয়ে মমিগুলো দেখতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে। কালের কষ্ঠ