সিরাজুল ইসলাম: [২] ২৭ সেপ্টেম্বর আজারবাইজান-আর্মেনিয়া সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে রোববার পর্যন্ত অনাবাসিক ও কৃষি জমিতে মর্টারগুলো পড়ে বলে জানিয়েছেন ডিস্ট্রিক্টের গভর্নর আলী আমিরি রাদ। এতে কেউ হতাহত হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।
[৩] মর্টার পড়ার বিষয়ে ইরান স্পষ্টভাবে দুই দেশকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। সীমান্ত লঙ্ঘনের বিষয়ে তাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। তবে কোন দেশের মর্টার সেখানে পড়েছে তা বলেনি তেহরান।
[৪] মনে করা হচ্ছে মর্টারগুলো আজারবাইজান ছুঁড়েছে। কারণ বিরোধপূর্ণ নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চলটি ইরান সীমান্তে। বিচ্ছিন্ন অঞ্চল নিয়েই বিরোধ প্রতিবেশী আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে। অঞ্চলটি আজারবাইজানের মধ্যে। তবে এটি নিয়ন্ত্রণ করে জাতিগত আর্মেনিয়রা। এখানকার বাসিন্দারা স্বাধীনতা চায় না। তারা আর্মেনিয়ার সঙ্গে একীভূত হতে চায়। আর আগে আজাবাইজান অভিযোগ করে- আর্মেনিয়াকে অস্ত্র ও সেনা দিয়ে সহায়তা করছে ইরান। তেহরান এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। আজারবাইজান মুসলিম প্রধান এবং আর্মেনিয়া খ্রিস্টান প্রধান দেশ।
[৫] আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে নতুন করে সীমান্ত সংঘাত শুরু হওয়ার পরপরই ওই দুই দেশের নেতাদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ। তারা দেশ দুইটিকে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি করে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন।
[৬] ১৯৮০’র দশকের শেষদিকে কারাবাখ অঞ্চলে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ১৯৯১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মুহূর্তে সংঘর্ষ চূড়ান্ত আকার ধারণ করে। ১৯৯৪ সালে দু’পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়। এর আগে সংঘর্ষে ৩০ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। সূত্র: বিবিসি, পার্সটুডে