দেবদুলাল মুন্না:[২] যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকেলে রকেটে করে ভার্জিনিয়া থেকে টয়লেটটি মহাকাশ স্টেশনে পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু উৎক্ষেপণের তিন মিনিট আগে কারিগরি ত্রুটির কারণে মিশন স্থগিত হয়। প্রকৌশলীরা যতো দ্রুত ত্রুটিগুলো সারাতে পারবেন এরপরই আবার অভিযানের চেষ্টা চলবে। নাসার পক্ষ থেকে বলা হয়, টয়লেটের ‘ভ্যাকুয়াম সিস্টেম’ বিশেষভাবে নকশা করা হয়েছে।
[৩] আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) শূন্য-অভিকর্ষের (জিরো-গ্র্যাভিটি) টয়লেট পাঠাচ্ছে নাসা। ভবিষ্যৎ চন্দ্র অভিযানকে সামনে রেখে এর কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হবে সেখানে। বিবিসি।
[৪] এই টয়লেট নির্মাণে খরচ হয়েছে ২৩ মিলিয়ন ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৯৫ কোটি টাকা। এটি কার্গো শিপের মাধ্যমে আইএসএসে পাঠানো হবে।
[৫] নাসা জানাচ্ছে, টাইটানিয়াম স্পেস টয়লেটটি আরও দূরবর্তী অঞ্চলে মিশনে সাহায্য করবে। শূন্য অভিকর্ষ অঞ্চলে শরীরের বর্জ্য নিঃসরণের জন্য এখানে ব্যবহার করা হচ্ছে ভ্যাকুয়াম সিস্টেম। গোপনীয়তা রক্ষায় পৃথিবীর পাবলিক টয়লেটের মতোই কিউবিকলের মধ্যে এটি থাকবে। এর ওজন ৪৫ কেজি, উচ্চতায় ২৮ ইঞ্চি। বর্তমান টয়লেটের চেয়ে ৬৫ ভাগ ছোট ও ৪০ ভাগ হালকা।নাসার প্রজেক্ট ম্যানেজার মেলিসা ম্যাককিনলে জানান, কমোড সিট ও ইউরিন ফ্যানেল আগের তুলনায় পরিমার্জিত। নারী নভোচারীরা আরও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন।
[৬] টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করে নাসার নভোচারী জেসিকা মেয়ার এই টয়লেটকে ‘ভ্যাকুয়াম সিস্টেম’ বলে উল্লেখ করেন।