লিহান লিমা: [২] দিন ও রাতের ওপর বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রভাব পর্যালোচনা করে গবেষকরা বলেছেন এটি বন্যপ্রাণী ও জলবায়ু জরুরি অবস্থায় তাদের খাপ খাওয়ার ক্ষমতার ওপর ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলবে। সেই সঙ্গে মারাত্মক তাপদাহের সময়ও রাতের বেলা তুলনামূলকভাবে মানুষের একটু ঠান্ডা থাকার ওপর প্রভাব ফেলবে। দ্য গার্ডিয়ান
[৩]বিজ্ঞানিরা ২০১৭ সাল পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ৩৫ বছরে দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য পর্যবেক্ষণ করে এ তথ্য জানিয়েছেন। দিনে ও রাতে দুই বেলায়ই তাপমাত্রা বাড়ছে। কিন্তু গবেষকরা দেখেছেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি অঞ্চলে দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য ০.২৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
[৪]বিশ্বের দুই তৃতীয়াংশ অঞ্চলে বিশেষ করে ইউরোপ, পশ্চিম আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিমাঞ্চল এবং মধ্য এশিয়ায় দিনের চেয়ে রাতের তাপমাত্রা দ্রুতগতিতে বাড়ছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চল, মেক্সিকো এবং মধ্যপ্রাচ্যে দিনের তাপমাত্রা বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রে দিনের তাপমাত্রার চেয়ে রাতের তাপমাত্রা দুইগুণ বেশি, এই তাপদাহের কারণে অনেক আমেরিকান মারা যাচ্ছে ও দেশটিতে দাবানল,সুনামির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়ছে।
[৫]গবেষকরা বলছেন, ‘রাতের তাপমাত্রা দ্রুত বাড়তে থাকলে রাতেও স্বস্তি পাবে না মানুষ ও বন্যপ্রাণিরা।’
[৬]তাপমাত্রার পরিবর্তন মেঘের ওপরও প্রভাব ফেলছে। মেঘ বাড়ার কারণে দিনের বেলা সূর্যের তাপ আটকে যাচ্ছে অন্যদিকে রাতের বেলা মেঘের তাপমাত্রা ও আদ্রর্তা বেশি থাকছে। আবার কিছু অঞ্চলে মেঘ কমে যাওয়া সূর্যের তাপ সরাসরি পড়ছে, ফলে দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে।