রাশিদ রিয়াজ : [২] বিশ্বব্যাংকের নতুন এক জরিপ বলছে উন্নয়নশীল পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্তমহাসাগরীয় এলাকায় ফের দারিদ্র বৃদ্ধির বিষয়টিকে ‘ট্রিপল শক’ হিসেবে তুলনা করে বিশ্বব্যাংক বলছে এ অঞ্চলের ৩৮ মিলিয়ন মানুষ ফের দরিদ্র হয়ে পড়ছে। গত দুই দশকে এই প্রথম তাদের আয় হ্রাস পেয়েছে কোভিড মন্দা ও কাজের অভাবে। আরটি
[৩] এ অঞ্চলের মানুষের আয় দিনে সাড়ে ৫ ডলারে নেমেছে। এর মধ্যে রয়েছে চীনের কিছু অঞ্চল, ফিজি, সামোয়া দ্বীপ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো। তবে ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর পরিস্থিতি সম্পর্কে এ প্রতিবেদেন কিছু বলা হয়নি।
[৪] প্রতিবেদনে বলা হয় কোভিডের কারণে সংকোচন ব্যবস্থাপনার অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ও সংকট থেকে অর্থনীতি যথাযথভাবে পুনরুদ্ধার করা সম্ভব না হওয়ায় এসব অঞ্চলে নতুন করে দারিদ্রের হার বাড়ছে।
[৬] এ অঞ্চলে এ বছর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ। ১৯৬৭ সাল থেকে এ হার সর্বনিম্ন। চীনে এ বছর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার হবে ২ শতাংশ। কারণ চীন সরকার কোভিড মোকাবেলার পাশাপাশি রফতানি অব্যাহত রাখার জন্যে শক্তিশালী উদ্যোগ নেয় এবং মহামারী প্রাদুর্ভাবের হার কমিয়ে আনতে সমর্থ হয়। কিন্তু পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অর্থনীতি হ্রাস পায় সাড়ে ৩ শতাংশ।
[৭] ২০০৯ সালের পর মঙ্গোলিয়া প্রথমবারের মত মন্দার কবলে পড়েছে। এ বছর দেশটির অর্থনীতি সঙ্কুচিত হবে ২.৪ শতাংশ। অভ্যন্তরীণ চাহিদা হ্রাস ও কোভিড লকডাউনে খনিজ ও পরিষেবা খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশি।
[৮] এরফলে এ অঞ্চলে অসুস্থতা, খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা, বেকারত্ব বৃদ্ধি ও স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষার অভাব আজীবন স্থায়ী হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। হাসপাতাল, স্কুল, চাকুরী এবং আর্থিক সহায়তায় ব্যাপক ঘাটতিতে নিম্নআয়ের মানুষের দুর্ভোগ দীর্ঘকাল স্থায়ী হতে পারে। বিশ্বব্যাংকের এ অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট ভিক্টোরিয়া কোয়াকওয়া বলেন মহামারী শুধু দরিদ্রদের আঘাত করেনি, এটি নতুন করে দরিদ্র তৈরি করছে। এ অঞ্চলটি একটি চ্যালেঞ্জের মুখে এবং সরকারগুলো কঠোর নির্বাচনের মুখোমুখি হচ্ছে। তবে আশার কথা আগামী বছর এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৭.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে। আর চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৭.৯ শতাংশ।