জেরিন আহমেদ : [২] সিলেট এমসি কলেজের গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের পুলিশ খুঁজে না পেলেও ফেসবুকে সরব ছিলো জড়িত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। শনিবার সকালেও ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন মামলার দুই আসামি।
[৩] মামলার অন্যতম আসামি মাহফুজুর রহমান মাসুমের পক্ষে সাফাই গেয়ে হুমায়ুন রশিদ পায়েল নামের একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এমসি কলেজে গণধর্ষণের ঘটনায় ছোট ভাই মাহফুজুর রহমান মাসুম এমসিতে ছিল না, সে জাফলং ছিল তার বন্ধুদের সঙ্গে। সেখানের লাইভ ভিডিও ও ছবি ফেসবুকে রয়েছে। সাংবাদিক ভাইদের প্রতি অনুরোধ, মনগড়া নিউজ করে একজন মেধাবী ছাত্রের জীবন নষ্ট করে দেবেন না।’ সূত্র: ফেসবুক থেকে
[৪] একই মামলার আসামি মাহফুজুর রহমান মাসুম নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এরকম জঘন্য কাজের সঙ্গে আমি জড়িত নই। যদি জড়িত প্রমাণ পান প্রকাশ্যে আমাকে মেরে ফেলবেন। একমাত্র আল্লাহর ওপর বিশ্বাস আছে। আল্লাহ আমাকে নির্দোষ প্রমাণ করবেন। তবে নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ার আগে আমাকে সুইসাইডের দিকে নিয়ে যাওয়া আপনাদের বিচার আল্লাহ করবেন।’
[৫] গণধর্ষণের মামলার আরেক আসামি রবিউল হাসান শনিবার বেলা ১১টার দিকে ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘সম্মানিত সচেতন নাগরিকবৃন্দ আমি রবিউল হাসান। আমি এমসি কলেজের শিক্ষার্থী। আপনারা অনেকে চেনেন, আমি কেমন মানুষ তা হয়তো অনেকে জানেন। শুক্রবার এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের সঙ্গে কে-বা কারা আমাকে জড়িয়ে সংবাদ করিয়েছেন জানি না। আমি এমসি কলেজের ছাত্র। কিন্তু আমি হোস্টেলে কখনও ছিলাম না, আমি বাসায় থেকে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছি।’
[৬] ফেসবুকে সরব থাকার পরও আসামিদের গ্রেফতার করতে না পারা প্রসঙ্গে শাহপরান থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, আমরা তাদের গ্রেফতারে সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছি। বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চলছে।
[৭] উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকেলে স্বামীর সঙ্গে এমসি কলেজে বেড়াতে গিয়েছিলেন এক গৃহবধূ। সন্ধ্যায় তাদের কলেজ থেকে ছাত্রাবাসে ধরে নিয়ে যায় ছাত্রলীগের ৬-৭ জন নেতাকর্মী। এরপর দুইজনকে মারধর করা হয়। একই সঙ্গে স্বামীকে আটকে রেখে তার সামনে স্ত্রীকে গণধর্ষণ করে তারা। খবর পেয়ে রাতে ছাত্রাবাস থেকে ওই দম্পতিকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ধর্ষণের শিকার হওয়া নারীকে ওসমানী হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে ভর্তি করা হয়। এসময় এ ঘটনায় জড়িত এক ছাত্রলীগ নেতার কক্ষ থেকে পাইপগান, চারটি রামদা, দুটি চাপাতি ও একটি ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
[১০] এ ঘটনায় শনিবার সকালে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত দু-তিনজনের বিরুদ্ধে শাহপরান থানায় মামলা করেন নির্যাতিত গৃহবধূর স্বামী।
আপনার মতামত লিখুন :