আশরাফুল নয়ন: [২] নওগাঁর নিয়ামতপুরে রাস্তা থেকে তুলে কলেজ ছাত্রীর মাথার চুল কাটার ঘটনায় রুপা (২০) নামে আরেক আসামীকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে জেলার মান্দা উপজেলায় তার ফুফুর বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। রুপা প্রধান আসামি রায়হান এর স্ত্রী। তাদের বাড়ি উপজেলার শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের ঝাজিরা গ্রামে হলেও উপজেলা সদরে বালাহৈর জামে মসজিদের কাছ ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
[৩] জানা যায়, রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে ওই কলেজ ছাত্রী কম্পিউটার প্রশিক্ষণ শেষে বাড়ি ফিরছিল। বাড়ি ফেরার পথে বালাহৈর জামে মসজিদের কাছ থেকে রায়হান ও তার তিন বন্ধু তাকে জোর করে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে তার ভাড়া বাড়ীতে নিয়ে যায়। এরপর রায়হান ও তার স্ত্রী রূপা কলেজ ছাত্রীর মাথার চুল কেটে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। সেখানে তাকে প্রায় দুই ঘন্টা আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। ওই ছাত্রীর প্রায় দেড় ফুট লম্বা মাথার চুল কেটে ফেলা হয়।
[৪] এরপর অশ্লীল ছবি তুলে কাউকে কিছু না বলার জন্য হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। কলেজ ছাত্রী বাড়ি ফেরার পর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। ঘটনার একটি ভিডিও ফেইসবুক সহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। মামলার দিন প্রধান আসামি রায়হানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলার দুইদিন পর রায়হানের স্ত্রী রুপাকেও আটক করা হয়।
[৫] মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়ামতপুর থানার উপ-পরিদর্শ (এসআই) মতিয়ার রহমান বলেন, রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে মাথার চুল কাটার ঘটনায় গত (২১ সেপ্টেম্বর) কলেজ ছাত্রীর বাবা আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে রায়হানকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত আরো দুইজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। মামলার পর রায়হানকে আটক করে মঙ্গলবার জেল হাজতে পাঠানো হয়। এছাড়া রায়হানের স্ত্রী রুপাকেও আটক করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত আছে। সম্পাদনা: সাদেক আলী
আপনার মতামত লিখুন :