ডেস্ক রিপোর্ট: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিবহন পুলের গাড়িচালক আবদুল মালেক দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক বনে গেছেন। ঢাকায় তার বাড়ি, ফ্ল্যাট, প্লট, ফার্মের মতো অঢেল সম্পদের হিসাব সামনে এসেছে। গোয়েন্দাদের ধারণা, এ দুর্নীতিবাজ সরকারি গাড়িচালকের আরও অনেক সম্পদ রয়েছে, যা তিনি গোপন করার চেষ্টা করছেন। এসব সম্পদের খোঁজে নেমেছেন গোয়েন্দারা।
এদিকে গাড়িচালক আবদুল মালেকের বিপুল সম্পদ অর্জনের পেছনের দুর্নীতির বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কোনো সহায়তা চাইলে দিতে প্রস্তুত অভিযান পরিচালনাকারী সংস্থা র্যাব। দুদকের সঙ্গে তথ্য আদান প্রদানের মাধ্যমে আবদুল মালেকের দুর্নীতির আদ্যোপান্ত তুলে আনা সম্ভব বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।
সূত্র জানায়, দুর্নীতি ও নানা অপরাধ কর্মকা-ের মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ দিয়ে আবদুল মালেক দেশে সম্পদ গড়ে তোলেন। পাশাপাশি তিনি বিদেশেও কোটি কোটি টাকা পাচার করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। এর আগে শতকোটি টাকা অবৈধভাবে বিদেশে পাচারের অভিযোগে আবদুল মালেককে ২০১৯ সালের ২২ অক্টোবর তলব করে দুদক। বিষয়টি নিয়ে দুদকও কাজ করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, দুদক চাইলে আমরা যে কোনো ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত। প্রয়োজন হলে এ ধরনের আরও অভিযান পরিচালনা করবে র্যাব।
তুরাগ থানায় দায়ের করা অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের দুই মামলায় ১৪ দিনের রিমান্ডে রয়েছে আবদুল মালেক। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে মালেক গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য দিচ্ছে। মালেকের মুখে উঠে আসছে সম্পদের বিবরণ। এ ছাড়া তার সহযোগীদের নামও বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। তার দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও তুরাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রুবেল শেখ বলেন, মঙ্গলবার থেকে আবদুল মালেককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, অবৈধ অস্ত্র, জালনোট ব্যবসা ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকা-ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গত রবিবার রাজধানীর তুরাগ থানা এলাকা থেকে গাড়িচালক আবদুল মালেককে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি, দেড় লাখ বাংলাদেশি জাল নোট, একটি ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।যুগান্তর, বাংলা নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :