বিপ্লব বিশ্বাস : [২]দেশের কুমিল্লা, চুয়াডাঙ্গা, রাজশাহীর সীমান্ত এলাকা থেকে আসছে ফেনসিডিলের চালান। কখনো মোটরসাইকেলের ফুয়েল ট্যাংকার, কখোনো কুমড়ার ভেতরে করে, আবার কখনো আমের ক্যারেটে আসছে এই ফেনসিডিলের চালান!
[৩] প্রতি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ঢাকায় ডুকছে এসব চালান। কিছুক্ষেত্রে ধরা পরলেও বাকী চালানগুলো থাকে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। মোটরসাইকেলের ফুয়েল ট্যাংকারে বিশেষ ব্যবস্থায় ফেনসিডিল আসছে রাজধানীতে। আবার কুমড়ো কেটে ভেতরে অভিনাব কায়দায় ট্রাকে করে নিয়ে আশা হয় এ সব চালান।
আসছে আমের ক্যারেটেও।
[৪]এ ব্যপারে গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান বলেন,'বাংলাদেশে মাদকের চাহিদা অনেক। এ কারণে যারা বিক্রি করেন তারা কিভাবে আইনশৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে নতুন নতুন পন্থা অবলম্বন করেন।' তিনি আরও বলেন,'আমরা মা-বাবাকে বলে থাকি প্রতিটি সন্তানকে এমনভাবে গড়ে তুলবেন যেন তারা মাদকের প্রতি আসক্ত না হয়। প্রতিটি শিক্ষকের উচিত তার ছাত্র ছাত্রীকে শিক্ষা দেয়া যে, শুধু ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার বা পুলিশ অফিসার হলেন এমন না সে যেন মাদকাসক্তি থেকে দূরে থাকেন। সুস্থ মানুষ হন। এটা না হলে সত্যিকার অর্থে মাদকের চাহিদা কমানো যাবে না। আমাদের একার পক্ষে এই মাদক নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে না।
[৫]পুলিশ বলছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে মাদক ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত পাচারের কৌশল পরিবর্তন করে চলেছে। মোটরসাইকেলে চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকায় আসছে ফেনসিডিলের চালান। গোপন সংবাদ ছিল গোয়েন্দা পুলিশের কাছে। রাজধানীর ধলপুর এলাকায় একটিমোটরসাইকেল থামায় পুলিশ।মোটরসাইকেলের কোথায় রাখা হয়েছে ফেনসিডিল খুঁজে বেগ পেতে হয় গোয়েন্দাদের। এক পর্যায়ে বাহক সাইদুর রহমান জানান তেলের ট্যাংকারে আছে ফেনসিডিল। মোটর মেকানিক ডেকে খোলা হয় তেলের টাংকার। বেরিয়ে আসে একের পর এক ফেনসিডিলের বোতল।
[৬]মোটরসাইকেল চালক জানান, বিশেষ কায়দায় তৈরি করা হয়েছে ফুয়েল ট্যাংকারটি। উদ্দেশ্য পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাদক পরিবহন করা। এই উপায়ে গেলে কয়েক বছার ধরে চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকায় ফেনসিডিল পরিবহণ করা হচ্ছে।
[৭]প্রতি সপ্তাহে চার থেকে ৫টি চালান আসে। মাসে কমপক্ষে ২০টি। প্রতি চালানে বোতল আসে ৭০টি। গেল সপ্তাহে আমের ক্যারেটে করে আসে ফেনসিডিলের চালান। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে বাসে ঢাকায় আসে আমের ক্যারেটটি। চারটি ক্যারেটে মেলে ৩২০ বোতল ফেনসিডিল।
[৮]পুলিশ বলছে, মাদক চোরাচালানে নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে। পুলিশের চোখ ফাঁকি দেয়া যায় এমন বাহন ব্যবহার করা হচ্ছে। গেল এক মাসে পুলিশ উদ্ধার করেছে এক লাখেরও বেশি ফেনসিডিলের বোতল