শিরোনাম
◈ নিউইয়র্কে জোহরান মামদানির জয়: কেন ক্ষুব্ধ মোদি সমর্থকেরা? আল–জাজিরার প্রতিবেদন ◈ ওড়না কেড়ে নিয়ে পুরুষ কর্মকর্তাদের উল্লাস, নারী বন্দিদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ◈ রেকর্ড উৎপাদনের সুফল কোথায়? চালের বাজারের চালকের আসনে কারা? ◈ পবিত্র আশুরা আজ ◈ তরুণ ক্রিকেটার তানভীরের ফাইফারে সিরিজ সমতায় বাংলাদেশ ◈ 'শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দখল করেছে জামায়াত': গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ◈ ১৪ হাজার কোটি রুপি কেলেঙ্কারি, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার ভারতের নেহাল মোদি (ভিডিও) ◈ মোবাইল চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সালিস থেকে রক্তাক্ত ট্র্যাজেডি ◈ জাতীয় নির্বাচনে বাধা দেওয়ার শক্তি কারো নেই: কেরানীগঞ্জে বিএনপি সমাবেশে সালাহ উদ্দিন আহমদের হুঁশিয়ারি ◈ তুর্কমেনিস্তানকে কাঁ‌পি‌য়ে দি‌লো বাংলা‌দেশ, এশিয়ান কাপে যাচ্ছে ঋতুপর্ণারা

প্রকাশিত : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০১:১১ রাত
আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০১:১১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ৬-৯ সুদহার বেসরকারি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা না: ড. নাজনিন আহমেদ

রিয়াজ সবুজ: [২] ব্যাংক খাতে আমানতের সুদ হার সর্বকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। স্থায়ী আমানতে ব্যাংকগুলো ৫ শতাংশেরও কম সুদ দিচ্ছে। আগস্টের হিসেবে মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ। ফলে ব্যাংকে টাকা রেখে লোকসান গুনতে হচ্ছে গ্রাহকদের। কৃষি ও পল্লীঋণের ওপর মাইক্রো ফাইন্যান্স ইনস্টিটিউটগুলো (এমএফআই) ২৭ শতাংশ পর্যন্ত সুদ নিচ্ছে। সেক্ষেত্রে স্প্রেড হচ্ছে ১৮ শতাংশ। কারণ এমএফআইগুলো ব্যাংক থেকে এ ঋণ ৯ শতাংশ সুদে গ্রহণ করলেও গ্রাহক পর্যায়ে তা ২৭ শতাংশে বিতরণ করছে। সুদের হার বাজারে ঋণের চাহিদা ব্যাপকভাবে হ্রাস পাওয়া সত্ত্বে¡ও লেন্ডিং রেট কমছে না।

[৩] বিদায়ী অর্থবছরে ব্যাংক ভেদে উৎপাদনশীল খাতে সুদহার ১১ থেকে ১৪ শতাংশ, ট্রেডিং খাতে ৯ থেকে ১৬.৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র উদ্যোগ ৯ থেকে ১৬ শতাংশ, গৃহ ঋণের সুদহার ১২ থেকে ১৪ শতাংশ, পারসোনাল ঋণের সুদহার ১২ থেকে ১৬ শতাংশ আর ক্রেডিট কার্ডেও সুদহার ১৫ থেকে ২৮ শতাংশ নির্ধারিত ছিল। বর্তমানে ক্রেডিট কার্ড ছাড়া সব ঋণে ৬-৯ সুদহারের নীতি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

[৪] এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্ট্যাডিজের (বিআইডিএস) সম্মানিত ফেলো অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে আমাদের কোনো ক্যাপিং থাকার কথা নয়। তবে আমাদের দেশের ব্যাংকিং সেক্টরে বিশেষ করে বেসরকারি ক্ষেত্রে অনেকে নীতির বাস্তবায়ন করেনি। আমরা দেখেছি যে কয়েক বছর আগে যখন ক্যাপিটাল মার্কেট সমস্যা হয়েছিলো, অনেক ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাদের এডি রেশিও’র বাইরে গিয়ে বিনিয়োগ করেছে। কিন্তু রেগুলেশন অনুযায়ী সেটা হওয়ার কথা নয়। তখন বেসরকারি ব্যংকগুলো সরকারের কাছে সমস্যার কথা বলে এডি রেশিও বাড়িয়ে নিলো এবং কমিয়ে নিলো রিজার্ভের পরিমাণ। তার পরিপ্রেক্ষিতে তারা বলেছিল যে তারা খরচ ও সুদের হার কমিয়ে দেবে কিন্তু তারা সেটা করেনি।

[৫] তিনি বলেন, এখন অনেকেই বলছে মুক্তবাজার অর্থনীতিতে হয়েছে সুদহার নির্ধারণ কেনো করল এটা ভালো নয়। ২০১৮ সালে প্রথম ৬-৯ সুদ হারের কথা আসে। সরকারি ব্যাংকগুলো তখন থেকেই বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছে। তবে বেসরকারি ব্যাংকগুলো তাদের কথা রাখেনি। আমরা মুক্তবাজার অর্থনীতি বলি তবে মুক্তবাজার অর্থনীতি মানে নীতিহীন অর্থনীতি নয়। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে যেমন স্বাধীনতা থাকবে আবার সেটার অপব্যবহারে তার বিরুদ্ধে শাস্তিও কঠিন হতে হবে। তবে আমি বলব না যে ৬-৯ সুদহার মুক্তবাজার অর্থনীতির জন্য আদর্শ অবস্থা। তবে যেভাবে নিয়ম-নীতির ব্যত্যয় ঘটছিল কিছু সময়ের জন্য সেটার লাগাম টানা গেছে।

[৬] ড. নাজনীন বলেন, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে বলবো তাদেরকে অপ্রয়োজনীয় খরচ কমাতে হবে। একটা সময় সকল প্রতিষ্ঠান শৃঙ্খলার ভিতর আসলে এমনিতেই দেখা যাবে তখন আর ৬-৯ সুদহার প্রয়োজন হবে না।

[৭] এ ব্যাপারে বেসরকারি সিটি ব্যাংকের প্রধান নির্বহী কর্মকর্তা মাসরুর আরেফিন বলেন, ৯ পার্সেন্ট সুদ হারে ব্যাংকগুলোর লাভের ক্ষেত্রে বড় একটা ইম্প্যাক্ট আছে। কারণ ডিপোজিট সেভাবে পাওয়া যাচ্ছে। তবে ব্যবসায়ীদের জন্য ৬-৯ রেট বড় ক্রেডিট গ্রোথ হওয়া উচিত। যা করোনার কারণে হচ্ছে না।
বেসরকারি খাতের খরচ কমানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বেসরকারি খাতে খরচ ক্রমান্বয়ে কমে আসবে দ্রব্যমূল্যের দাম কমে যাবে। বেসরকারি ব্যাংক ঋণ দেওয়ার ফান্ড আছে। ব্যবসায়ীরা বাজার গোছাচ্ছে তবে লোন রিকুয়েস্ট কম আসছে যেটা করোনার কারণে হতে পারে। আর বেসরকারি ব্যাংক গুলো খরচ কমিয়ে ও অন্যভাবে ম্যানেজ করে চেষ্টা করছে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব

 

 

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়