এইচ এম মিলন: [২] পরিবেশ বান্ধব কৌশলের মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় বিষমুক্ত পদ্ধতিতে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা কৃষি বিভাগের সহায়তায় লাউ চাষে সফলতা অর্জন করেছেন মো. সাহাবুদ্দিন বেপারী নামে এক কৃষক। তার এ সফলতা দেখে বর্তমানে উপজেলার অনেক কৃষক অনুপ্রানিত হয়ে নতুন করে লাউ চাষে ঝুঁকছেন।
[৩] কৃষি অফিস ও সরেজমিন সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার এনায়েতনগর এলাকার দড়িচর গ্রামের কৃষক মো. সাহাবুদ্দিন বেপারী তার বাড়ির আঙ্গিনার প্রায় ৩৩ শতাংশ উচু জমিতে চায়না জাতের লাউয়ের চাষ করেছেন। কৃষক সাহাবুদ্দিন গত তিন আগে লাউয়ের চাষ শুরু করেন। তিনি জমিতে কোন প্রকার কৃতিম পদ্ধতিতে সার ব্যবহার না করে প্রকৃতি উপায়ে কচুরীর ধাপ তৈরী করে সেখানে মুরগির বিষ্ঠা ও গুরুর বর্জ্য স্যার হিসেবে ব্যবহার করেন।
[৪] এতে করে তার জমিতে প্রচুর লাউয়ের ফলন ধরে। বর্তমানে কৃষক সাহাবুদ্দিন প্রতিদিন তার জমি থেকে প্রায় ২০ থেকে ২৫টি করে লাউ সংগ্রহন করেন। সেই লাউ প্রতি পিচ ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রি করেন। লাউ বিক্রি করে প্রতিদিন যে টাকা আয় হয় তা দিয়ে তিনি সংসার চালান এবং কিছু টাকা পুজি করে রেখে দেন। তিনি লাউ বিক্রি করে পরিবার নিয়ে সুখে দিনযাপন করছেন। আগে তার সংসারে অভাব-অনাটন থাকলেও এখন আর নেই।
[৫] কৃষক মো. সাহাবুদ্দিন বেপারী জানান, আমি লাউ চাষে সেক্সফেরোমন ছাড়া কোন প্রকার কীটনাশক ব্যবহার করেনি। এলাকার মানুষ এখন নিরাপদ বিষমুক্ত লাউ খেতে পারছে। তবে আমি লাউ চাষ করে আমার পরিবার নিয়ে এখন ভালো আছি। অল্প পুজি খাটিয়ে আমি অধিক লাভবান হচ্ছি। এসব করতে পেরেছি উপজেলা কৃষি অফিসের সুপরামর্শে।
[৬] এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস বলেন, প্রকৃতি উপায়ে লাউ চাষ করে কৃষক সাহাবুদ্দিন সফল হয়েছেন। তবে তার দেখাদেখিতে অনেকে উৎসহ পেয়ে লাউ চাষ শুরু করেছেন। সম্পাদনা: সাদেক আলী
আপনার মতামত লিখুন :