ভূঁইয়া আশিক: [২] অবসরপ্রাপ্ত এই মেজর জেনারেল আরও বলেন, বাংলাদেশ-মিয়ানমার আন্তর্জাতিক সীমান্তে মিয়ানমারের সৈন্য সমাবেশের গতিবিধি দৃষ্টিসীমার মধ্যে রাখতে হবে। নিজেদের সমস্যা সমাধানের জন্য মিয়ানমার কোনো একটা বিবাদ সৃষ্টি করতে পারে বাংলাদেশের সঙ্গে।
[৩] এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপে তিনি বলেন, যুদ্ধে জড়ানো বাংলাদেশের ইচ্ছে নয়। তবে যদি কোনো আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়, প্রথমে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে বিশ^কে তা জানাতে হবে। কারণ দুনিয়াকে আমাদের সঙ্গে রাখতে হবে। মিয়ানমার আক্রমণ করলে যাতে প্রতিরোধ করা যায়, বাংলাদেশকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
[৪] তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের উৎখাতের পরে রাখাইনে একটা শূন্যতা তৈরি হয়েছে। মিয়ানমার মনে করেছে, রোহিঙ্গা না থাকায় শান্তি বিরাজ করবে রাখাইনে। কিন্তু দেখা গেলো, সেখানে সক্রিয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আবাসভূমি তৈরি হয়েছে। রোহিঙ্গাদের সমস্যা সমাধান না করেই মিয়ানমার রাখাইনে যে শান্তি চিন্তা করেছিলো রাখাইনে, তা দেখা যাচ্ছে না। এ নিয়ে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও বড় ধরনের একটা চাপ সৃষ্টি হয়েছে।
[৫] অবসরপ্রাপ্ত এই সেনা কর্মকর্তা মনে করেন, অং সান সু চির রাজনৈতিক দল এনএলডিও সামরিক বাহিনীর সাংবিধানিক ক্ষমতা কমানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।
[৬] রোহিঙ্গাদের বাদ দিয়ে সংকট সমাধান করতে গিয়ে আরও সমস্যা তৈরি হচ্ছে। পুনরায় সামরিক বাহিনী নিয়োগ করে বিচ্ছিন্নবাদীদের দমনের চেষ্টা করতে পারে। আরও শরণার্থী সৃষ্টি হতে পারে। এই শরণার্থীরা রোহিঙ্গা কিংবা অন্য জনগোষ্ঠীর মানুষও হতে পারে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব