ফজলুল হক : গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অসংখ্য লিকেজ গ্যাস পাইপ লাইন দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছে বিপুল পরিমান গ্যাস। এতে একদিকে যেমন গ্যাসের অপচয় হচ্ছে, অপরদিকে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এ নিয়ে চরম আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয়রা। দ্রুত প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস কর্তৃপক্ষের।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশ দিয়ে উত্তরবঙ্গে তিতাস গ্যাসের সঞ্চালন লাইনে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর এলাকায় ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের উপর বের হচ্ছে গ্যাস, এতে ঝুকিঁতে রয়েছে যানবাহন চালকরা। তবে নায়াগ্রা টেক্সটাইলের পাশে চন্দ্রা, পল্লীবিদ্যুৎ, মৌচাক বাজার রোড, ডিভাইন টেক্সটাইল লিঃ আহসান কম্পোজিট লিঃ এর পাশে, সীমান্ত ফিলিং স্টেশনে অংশে অন্তত ৭টি স্থানে লিকেজ রয়েছে। বিশেষ করে কালিয়াকৈর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকায় এসব লিকেজ দিয়ে প্রতিদিনই অনর্গল গ্যাস বের হয়ে যাচ্ছে ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ লিখিত ও মৌখিক ভাবে বার জানালেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। গ্যাস সংযোগ দেয়ার সময়ের তুলনায় বর্তমানে লোকসংখ্যা ও বহুতল ভবনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৮০ শতাংশ। এছাড়া বাড়ি ও রাস্তা উচু করা হয়েছে ২ থেকে ৩ ফুট। এতে গ্যাসের পাইপগুলো গভীরে চলে গেছে। পুরনো গ্যাস পাইপগুলো একদিকে সরু, অপরদিকে মরিচা ধরে ছিদ্র হয়ে গেছে। ফলে এখন অধিকাংশ বাড়িতে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিকভাবে হয় না।
স্থানীয়রা জানান, লিকেজ পাইপ দিয়ে গ্যাস বের হয়ে যাওয়ায় বাসা- বাড়িতে গ্যাসের চুলায় গ্যাস সরবরাহ থাকে না। থাকলেও চুলা জ্বলে মিট মিট করে। ফলে রান্না করতে না পেরে হোটেল-রেস্তোরাঁ থেকে খাবার কিনে খেতে হয়। কালিয়াকৈর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সামসুল আলম আমাদের নতুন সময়-কে বলেন, ৭নং ওয়ার্ডের হরিণহাটি ২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে গ্যাস পাইপ লিকেজ হয়ে গ্যাস বের হয়ে যাচ্ছে। তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে লিখিত দিলেও কোন ব্যবস্তা নিচ্ছেন না।
তিতাস গ্যাস বিপনন এবং বিতরণ কোম্পানি লিমিটেড চন্দ্রা জোনাল অফিসের উপ-মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মামুনুর রহমান জানান, কালিয়াকৈরে ৭টি স্পট দিয়ে লিকেজ হয়ে গ্যাস বের হচ্ছে, ইতিমধ্যে ওইসব জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। মেরামতের জন্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। তবে এসব লিকেজ গ্যাস লাইনের মেরামত কাজ দ্রুত করা হবে।