মনিরুল ইসলাম: [২] শেখ হাসিনা বলেছেন, তারপরও আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য এবং এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে আমরা সব সময় সজাগ রয়েছি।
[৩] বুধবার সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফার এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
[৪] প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,একজন ইউএনওর ওপর যে ঘটনাটা ঘটে গেছে, ওয়াহিদার ক্ষেত্রে যেটা ঘটেছে, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। এটা অত্যন্ত গর্হিত কাজ, এতে কোনো সন্দেহ নেই। এর বিরুদ্ধে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি।
[৫] তিনি বলেন, একটা কথা আপনারা জানেন যে, এই বাংলাদেশে কী ঘটনাটা ঘটেছে। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট ঘরে ঢুকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে...তিনি তো রাষ্ট্রপতি ছিলেন...গোটা পরিবারকে হত্যা করেছে... এবং সেই খুনিদের ইনডেমিনিটি দিয়ে বিচারের হাত থেকে মুক্ত করেছে। যারা এত বড় ক্রিমিনাল, এই ধরনের খুনি, ক্রিমিনালদের যখন প্রশ্রয় দেয়া হয়, মানসিকভাবে সেই দেশের মানুষের কী রকম চরিত্র হতে পারে সেটাই বিবেচ্য বিষয়।
[৬] প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেখান থেকে একটা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা, ডিসিপ্লিনে নিয়ে আসা, অন্যায়কারী... তাদের বিরুদ্ধে যেন শাস্তি হয়, বিচার হয় এটাই তো সব থেকে বড় কাজ। ঘটনা যেকোনো সময় ঘটতে পারে। সেই ঘটনার সাথে সাথে আমরা সরকারপক্ষ থেকে যারা অপরাধী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি কি-না সেটাই হচ্ছে বড় প্রশ্ন। সে কারণে আমরা যখনই যেখানে যে ঘটনা ঘটে, যারা জড়িত, তদন্তে যার নাম আসবে, যে জড়িত, সে কে, কী করে- আমি সেটা দেখতে চাই না। আমি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা কিন্তু নিচ্ছি এবং আমরা এটা নেবো।
[৭] তিনি আরও বলেন, সেটা আমরা করে যাচ্ছি। এটা সব ক্ষেত্রে। এর বেশি আর কিছু বলার নেই। কারণ যে দেশে খুনিদের পুরস্কৃত করা হয় দূতাবাসে চাকরি দিয়ে। যে দেশে অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়া হয়েছে। এ রকম অবস্থা ছিল সেই দেশটাকে ডিসিপ্লিনের ফিরিয়ে আনা, সেই দেশটাকে নিয়মমাফিক চালানো খুব কঠিন একটা দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব আমরা সরকারে আসার পর থেকে পালন করে যাচ্ছি।
[৮] সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, যেখানে পাঁচশ বোমা হামলা হয়েছে। প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী, অস্ত্রধারীরা অস্ত্র নিয়ে মিছিল করেছে। এ ধরনের বহু ঘটনা আমাদের দেশে ছিল। কিন্তু আমরা তো ধীরে ধীরে সেগুলো একটা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসে, মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ