লিহান লিমা: [২] প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো গত ৯ আগস্টের বিতর্কিত নির্বাচনে ৮০ শতাংশ ভোট পেয়ে ষষ্ঠবারের মতো ক্ষমতার আসার পর থেকেই রাজধানী মিনস্কে বিক্ষোভ করছেন লাখো বেলারুশিয়ান। স্থানীয় সময় রোববার বিক্ষোভে ১ লাখেরও বেশি জনতা জমায়েত হন। আল জাজিরা/ইউরো নিউজ
[৩] শহরজুড়ে সশস্ত্র নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হলেও বিক্ষোভকারীরা তোয়াক্কা করে নি। সশস্ত্র পুলিশ, নিরাপত্তা বাহিনীর ট্যাংক এবং কামানের গোলার মুখে প্রতিবাদের লাল-সাদা রঙে কেঁপে ওঠে মিনস্কের রাজপথ। নারী, শিশু, যুবক, বৃদ্ধ ও তরুণরা একযোগে স্লোগান দেন ‘লুকাশেঙ্কো দূও হও’, ‘তুমি একটা ইঁদুর।’ জল কামানের আঘাতের মধ্যেই তারা স্লোগান দেন ‘লুকাশেঙ্কো, তোমার জন্য লজ্জা।’
[৪]বেলারুশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এদিন প্রায় ১০০জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ এ পর্যন্ত প্রায় ৮ হাজার ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
[৫]বিরোধী দলের গঠিত সমন্বয়ক পরিষদের প্রধান মারিয়া কোলেসনিকোভা বলেন, ‘সেনাবাহিনীর সরঞ্জাম, জলকামান, প্রোপাগান্ডা ও গ্রেপ্তার দিয়ে এই জনসমুদ্র রোখানো যাবে না। বেশিরভাগ বেলারুশিয়ান ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ হস্তান্তর চান। তারা ক্লান্ত হবেন না।’
[৬]বৈশ্বিক কনসাল্টিং ফার্মের প্রধান বিশ্লেষক ডারাহ ম্যাকডোয়েল বলেন, ‘অর্থনৈতিক খাত বিক্ষোভে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বেলারুশ দ্রুত অর্থশূন্য হয়ে পড়ছে। বিক্ষোভ দমাতে ইন্টারনেট শাটডাউন করার সঙ্গে সঙ্গে আইটি খাতও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত খাতগুলোর শ্রমিকরা বিক্ষোভ করছেন। জনগণ আর লুকাশেঙ্কোকে ভয় পায় না। তিনি কর্তৃত্ব হারিয়েছেন।’
[৭] লিথুয়ানিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা বিরোধী দলীয় নেত্রী শ্বেতলানা তিখানোভস্কায়া আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
[৮] ১৯৯৪ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা লুকাশেঙ্কোর ওপর রাশিয়ার সমর্থন রয়েছে। তবে বাল্টিক রাষ্ট্রগুলো লুকাশেঙ্কো ও অন্য ২৯ জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। ইইউ লুকাশেঙ্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।