শিরোনাম
◈ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভক্তি প্রকট ◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি

প্রকাশিত : ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৯:১২ সকাল
আপডেট : ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৯:১২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিপ্লব পাল: গ্লোবালাইজেশন থেকে শুধু নেবো, দেবো না- সেই রাজনীতি সাসটেনেবল নয়

বিপ্লব পাল: চীনের যেসব কোম্পানি ভারতে ব্যবসা করতে চাইছে, তাদের ওপর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক আরেকবার। অভিযোগ চাইনিজ অ্যাপগুলো ডেটা, পারসোনাল ডেটা চুরি করে। এখানে অনেকগুলো ইস্যু আছে। ডেটা প্রাইভেসি খুব গুরুত্বপূর্ণ। চীনে এসব মানার দায় নেই। কারণ রাষ্ট্র মনে করে মানুষ রাষ্ট্রের অংশ, তাই তাদের ডেটা রাষ্ট্রের থাকার দরকার। যেকোনো গণতন্ত্রে এর উল্টো। আমরা এতোদিন মেশিন নিয়ে কাজকারবার করতাম। আমাদের ক্লাউডে শুধু মেশিনের ডেটা থাকতো। ফিবারোয়ার্ন আমাদের প্রথম প্রোডাক্ট যেখানে মানুষের দেহের তাপমাত্রার দৈনন্দিন ডেটা থাকে। এদ্দিন আমাদের ডেটা ইন্সসিউরান্স (অর্থাৎ ডেটা ব্রিচ হলে যদি লস্যুট খাই, তার আগাম প্রটেকশন ) প্রায় দিতে হতো না। বর্তমানে খুব হাইরেটে দিতে হচ্ছে। যদিও কোনো ব্যক্তির নামের এগেইন্সটে আমরা তাদের দেহের তাপমানের ডেটাবেস রাখি না। তাতেই প্রচুর ইন্সিওরেন্স। এবার আপনি ধরুন এপ বাজারে ছাড়লেন। অ্যাপের খাতিরে কিছু ব্যক্তিগত তথ্য আপনাকে ডেটাবেসে রাখতে হলো। ধরা পড়লে আমেরিকাতে বিরাট লস্যুট খাবে। যেহেতু এসব এপ আমেরিকাতেও চলে, সেহেতু ডেটা প্রাইভেসি এরা মানে না, মনে হয় না ধোপে টিকবে। কারণ আমেরিকাতে ব্যবসা করার ইন্সিওরেন্সই পাবে না। অবশ্য চীনের সার্ভার থেকে ব্যবসা চালালে সব সম্ভব। দ্বিতীয়ত যে অভিযোগে ভারত চীনা অ্যাপ বন্ধ করলো, সেগুলো প্রমাণ করে বন্ধ না করে, ভারত সরকার বিরাট ভুল করেছে।

বর্তমানে বন্ধ করার লজিক- এটা আমাদের দেশে, আমার আইন , তোমাকে ব্যবসা করতে দেবো না। যদি চাইনিজ অ্যাপ আইন না মেনে ব্যবসা করে এবং তার জন্য তাড়ানো হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ এনে তাড়ানো উচিত। কারণ এসব কোম্পানির অনেকেই ভারতে ইনভেস্ট করেছে। এমন করলে ভারতে ইনভেস্ট করার জন্য অনেকেই কনফিডেন্স হারাবে। ধরুন আজকে বিজেপি ক্ষমতায় আছে। চীনকে বাঁশ দিচ্ছে। কালকে কমিনিউস্ট পার্টি ক্ষমতায় গেলে কী হবে? আমেরিকান কোম্পানি তাড়াবে। ঘাবরাবেন না। এটাই হয়েছিল ১৯৭৮ সালে। জনতা সরকার আইবিএম-সহ অনেক আমেরিকান কোম্পানিকে ভারত ছাড়া করেছিল। বলছেন, ভারতের বামেদের আসার চান্স নেই? বলা মুশকিল ভাই। বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে হিন্দু খতরে মে হ্যায় বিশ্বাস খাইয়ে। এসব এক্স.সি যখন পেটে কিল মারবে, লোক আরেকটা এক্সট্রিম আইডিওলজিতে পালটি খাবে।

আল্টিমেটলি বিজনেস লজিকে ভারতের গণতন্ত্র চলে না। তখন ভারতের আমেরিকান কোম্পানিগুলো যার এদ্দিন ধরে প্রচুর ইনভেস্ট করেছে তাদের কী হবে? ভারতের প্রায় এককোটি চাকরি, আমেরিকার ওপর নির্ভরশীল। আর বামেরা যে কালিদাসের মস্কো সংস্করণ, সেটা নিশ্চয়ই কোনো বাঙালিকে বলে দিতে হবে না। চীনকে কোণঠাসা করা দরকার। কিন্তু সেটা প্রতিযোগিতায় হারিয়ে করতে হবে। গ্লোবালাইজেশনকে মেনেই করতে হবে। গ্লোবালাইজেশন থেকে শুধু নেবো, দেবো না- সেই রাজনীতি সাসটেনেবল নয়। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়