শিরোনাম
◈ দেশে নিবন্ধিত কোচিং সেন্টার ৬,৫৮৭, অনিয়ন্ত্রিত আরো বহু; নীতিমালা শূন্যতায় বাড়ছে বাণিজ্যিকীকরণ ◈ অনলাইন জুয়ার অর্থ লেনদেনে দুই অভিনেত্রী গোয়েন্দা নজরে ◈ রাবি হল সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ৩৯ প্রার্থী ◈ জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে যেভাবে ধরা পড়ল ৫০ প্রতারক! (ভিডিও) ◈ জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন ও খেলাফত মজলিসসহ কয়েকটি দল যুগপৎ আন্দোলনে নাম‌ছে, কিন্তু কেন ◈ ভ্যালেন্সিয়ার জা‌লে বার্সেলোনার ৬ গোল ◈ পিআর আদায়ে আন্দোলনে রাজনৈতিক দলগুলোতে মতভেদ ◈ বাংলাদেশ রেলওয়ের বহরে যুক্ত হচ্ছে ভারতীয় ২০০ কোচ ◈ ফরিদপুরে মহাসড়ক-রেলপথ অবরোধের ঘটনায় ৯০ জনের নামে মামলা ◈ জাতিসংঘে প্রেসিডেন্ট পদে লড়বে বাংলাদেশ, প্রতিদ্বন্দ্বী ফিলিস্তিন

প্রকাশিত : ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৯:১২ সকাল
আপডেট : ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৯:১২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিপ্লব পাল: গ্লোবালাইজেশন থেকে শুধু নেবো, দেবো না- সেই রাজনীতি সাসটেনেবল নয়

বিপ্লব পাল: চীনের যেসব কোম্পানি ভারতে ব্যবসা করতে চাইছে, তাদের ওপর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক আরেকবার। অভিযোগ চাইনিজ অ্যাপগুলো ডেটা, পারসোনাল ডেটা চুরি করে। এখানে অনেকগুলো ইস্যু আছে। ডেটা প্রাইভেসি খুব গুরুত্বপূর্ণ। চীনে এসব মানার দায় নেই। কারণ রাষ্ট্র মনে করে মানুষ রাষ্ট্রের অংশ, তাই তাদের ডেটা রাষ্ট্রের থাকার দরকার। যেকোনো গণতন্ত্রে এর উল্টো। আমরা এতোদিন মেশিন নিয়ে কাজকারবার করতাম। আমাদের ক্লাউডে শুধু মেশিনের ডেটা থাকতো। ফিবারোয়ার্ন আমাদের প্রথম প্রোডাক্ট যেখানে মানুষের দেহের তাপমাত্রার দৈনন্দিন ডেটা থাকে। এদ্দিন আমাদের ডেটা ইন্সসিউরান্স (অর্থাৎ ডেটা ব্রিচ হলে যদি লস্যুট খাই, তার আগাম প্রটেকশন ) প্রায় দিতে হতো না। বর্তমানে খুব হাইরেটে দিতে হচ্ছে। যদিও কোনো ব্যক্তির নামের এগেইন্সটে আমরা তাদের দেহের তাপমানের ডেটাবেস রাখি না। তাতেই প্রচুর ইন্সিওরেন্স। এবার আপনি ধরুন এপ বাজারে ছাড়লেন। অ্যাপের খাতিরে কিছু ব্যক্তিগত তথ্য আপনাকে ডেটাবেসে রাখতে হলো। ধরা পড়লে আমেরিকাতে বিরাট লস্যুট খাবে। যেহেতু এসব এপ আমেরিকাতেও চলে, সেহেতু ডেটা প্রাইভেসি এরা মানে না, মনে হয় না ধোপে টিকবে। কারণ আমেরিকাতে ব্যবসা করার ইন্সিওরেন্সই পাবে না। অবশ্য চীনের সার্ভার থেকে ব্যবসা চালালে সব সম্ভব। দ্বিতীয়ত যে অভিযোগে ভারত চীনা অ্যাপ বন্ধ করলো, সেগুলো প্রমাণ করে বন্ধ না করে, ভারত সরকার বিরাট ভুল করেছে।

বর্তমানে বন্ধ করার লজিক- এটা আমাদের দেশে, আমার আইন , তোমাকে ব্যবসা করতে দেবো না। যদি চাইনিজ অ্যাপ আইন না মেনে ব্যবসা করে এবং তার জন্য তাড়ানো হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ এনে তাড়ানো উচিত। কারণ এসব কোম্পানির অনেকেই ভারতে ইনভেস্ট করেছে। এমন করলে ভারতে ইনভেস্ট করার জন্য অনেকেই কনফিডেন্স হারাবে। ধরুন আজকে বিজেপি ক্ষমতায় আছে। চীনকে বাঁশ দিচ্ছে। কালকে কমিনিউস্ট পার্টি ক্ষমতায় গেলে কী হবে? আমেরিকান কোম্পানি তাড়াবে। ঘাবরাবেন না। এটাই হয়েছিল ১৯৭৮ সালে। জনতা সরকার আইবিএম-সহ অনেক আমেরিকান কোম্পানিকে ভারত ছাড়া করেছিল। বলছেন, ভারতের বামেদের আসার চান্স নেই? বলা মুশকিল ভাই। বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে হিন্দু খতরে মে হ্যায় বিশ্বাস খাইয়ে। এসব এক্স.সি যখন পেটে কিল মারবে, লোক আরেকটা এক্সট্রিম আইডিওলজিতে পালটি খাবে।

আল্টিমেটলি বিজনেস লজিকে ভারতের গণতন্ত্র চলে না। তখন ভারতের আমেরিকান কোম্পানিগুলো যার এদ্দিন ধরে প্রচুর ইনভেস্ট করেছে তাদের কী হবে? ভারতের প্রায় এককোটি চাকরি, আমেরিকার ওপর নির্ভরশীল। আর বামেরা যে কালিদাসের মস্কো সংস্করণ, সেটা নিশ্চয়ই কোনো বাঙালিকে বলে দিতে হবে না। চীনকে কোণঠাসা করা দরকার। কিন্তু সেটা প্রতিযোগিতায় হারিয়ে করতে হবে। গ্লোবালাইজেশনকে মেনেই করতে হবে। গ্লোবালাইজেশন থেকে শুধু নেবো, দেবো না- সেই রাজনীতি সাসটেনেবল নয়। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়