রাশিদুল ইসলাম : [২] ভারতের মহারাষ্ট্র প্রদেশের ছোট গ্রাম থেকে শহরতলিতে কোভিড সংক্রমণে ঘুম উড়ে গেছে রাজ্য প্রশাসনের। মুম্বাইয়ের রাজেওয়াড়ি গ্রামে মাত্র ৩৬০ জনের বসতি। প্রতি চারজনে একজন ভাইরাস সংক্রামিত। প্রবীণরা প্রায় প্রত্যেকেই মারণ ভাইরাসের শিকার। বাড়ছে মৃত্যুও। স্বাস্থ্যকর্মকর্তারা বলছেন, বিপজ্জনক পরিস্থিতি রাজেওয়াড়িতে। টাইমস অব ইন্ডিয়া
[৩] স্বাস্থ্য দফতর জানাচ্ছে, সাতারা জেলায় অবস্থিত এই রাজেওয়াড়ি গ্রামই একসময় প্রায় সংক্রমণ মুক্ত ছিল। আগস্টের মাঝামাঝি অবধি কোনও কোভিড পজিটিভ রোগীর খোঁজ মেলেনি। কিন্তু আগস্টের শেষ থেকে আচমকাই ভাইরাসের সংক্রমণ থাবা বসায় এই ছোট্ট গ্রামে। মাস্ক ও সোশ্যাল ডিস্টেন্সিংয়ের বিধি ঠিকমতো না মানায় আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়ে চলে।
[৪] গত ১৭ আগস্ট প্রথম ভাইরাস সংক্রমণে এক প্রবীণ ব্যক্তির মৃত্যু হয় এই গ্রামে। ওই ব্যক্তির পরিবার ও তাদের সংস্পর্শে আসাদের থেকে গোটা গ্রামে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়দের বক্তব্য, মৃত ব্যক্তির শেষকৃত্যের জন্য ৩০ জন জড়ো হয়ে প্রার্থনা, খাওয়াদাওয়া করেছিলেন এক জায়গায়।
[৫] গোটা গ্রামের বাইরে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে। রাজেওয়াড়িকে সংক্রামিত এলাকা ঘোষণা করে গ্রামের বাইরে পুলিশ পাহারা বসানো হয়েছে। বাইরে থেকে গ্রামে ঢোকার অনুমতি নেই কারও। শুধুমাত্র কোভিড পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে।
[৬] কোভিড সংক্রমণে ব্রাজিলকে টপকে বিশ্বের দু’ নম্বরে এসেছে ভারত। আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরেই ভারতের স্থান। দৈনিক সংক্রমণের হারও বেড়ে চলেছে। শুক্রবার ৮৩ হাজার নতুন সংক্রমণের রেকর্ড করেছে ভারত। রাজ্যগুলির মধ্যে সংক্রামিতের সংখ্যার নিরিখে শীর্ষেই রয়েছে মহারাষ্ট্র। করোনা অ্যাকটিভ রোগী ২ লাখের বেশি। মুম্বইতেই আক্রান্তের সংখ্যা দেড় লাখের কাছাকাছি। ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যু সাত হাজারের বেশি।