লাইজুল ইসলাম : [২] কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে দেশে এপর্যন্ত ৪ হাজার ৩৫১ জন মারা গেছেন। রাজধানীতেই মৃতদের অর্ধেকের বেশি। এদের দাফনের কাজটি করে থাকে দুটি সেচ্ছাসেবি সংগঠন মস্তুল ও মারকাজুল ইসলামী। কোভিডে মৃত ব্যক্তির মরদেহ গোসলের দায়িত্ব মূলত মারকাজুল ইসলামীর গোসল খানায়। কিন্তু এর বাইরে কোথাও গোসলা করানো অনুমতি দেয়া হয়না।
[৩] বিভিন্ন সময় কোভিড আক্রান্ত হয়ে শুধু হাসপাতালেই নয়, বাড়িতেও মারা গেছেন অনেকে। যারা হাসপাতালে মারা গেছেন তাদের গোসলের দায়িত্ব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। কিন্তু যারা বাসায় মারা যান তাদের গোসল করাতে হয় মারকাজুল ইসলামীর নির্ধারিত গোসল খানায়।
[৪] এতে বেশ বিপাকে পরতে হয় এই মাস্তুল ও মারকাজুল ইসলামীর। সেখানে জায়গা সল্পতার পাশাপাশি সমস্যা সৃষ্টি হয় লোকবলেরও। মাস্তুল ফাউন্ডেশন উদ্যোক্তা কাজী রিয়াজ রহমান বলেন, সম্প্রতি একটি মরদেহ নিয়ে পাঁচটি স্থানে গিয়েছি। পূর্বাচল কবরস্থান, আজিমপুর কবরস্থান, রায়েরবাজার কবরস্থান, জিগাতলা ও মতিঝিল প্রাইভেট গোসল করানোর প্রতিষ্ঠানে গিয়েও মরদেহ গোসল করাতে পারিনি।
[৫] কাজী রিয়াজ বলেন, একটি নির্ধারিত জায়গা থাকলে এই মরদেহগুলো নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে হতো না। সরকার এই রকমের কোনো ব্যবস্থাও করেনি। যেসব হাসপাতালের কোভিড রোগি মারা যায় সেখান থেকেও মাঝে মধ্যে গোসল না করিয়ে মরদেহ দিয়ে দেয়।
[৬] এই প্রশ্নে জবাবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, মারকাজুল ইসলামীর ওখানে গোসল করানোর নির্দেশনা আছে। কোনো কবরস্থানে কোভিড রোগিদের গোসল করানোর নির্দেশনা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আমাদের গাইডলাইন দেয়নি।
[৭] তবে মারকাজুল ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হামজা শহীদুল ইসলাম বলেন, সরকার থেকে আমাদের কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। কোনো নির্দিষ্ট স্থানও দেয়া হয়নি। আমরা যেখানো সাধারণ মরদেহ গোসল করাই সেখানে কোভিড মরদেহ গোসল করাতে ঝামেলায় পরতে হয়। মানুষের হুমকির মুখে পরতে হয়। স্থানিয়রা ঝামেলা করেন।
[৮] কোভিড রোগিদের জন্য আলাদা করে একটি স্থান নির্ধারিত করতে পারলে হয়তো আমাদের এতটা ঝামেলার মুখোমুখি হতে হতো না।
আপনার মতামত লিখুন :