পাভেল সামাদ: [২] মৃত ফারুক মিয়া (৩৫) আজমিরিগঞ্জ থানার শিবপাশা ইউনিয়নের পশ্চিমভাগ গ্রামের আবদুল আউয়ালের ছেলে। বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের ধলিপাঠলি গ্রামের সাবেক মেম্বার আফতাব আলীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
[৩] স্থানীয় সূত্র জানায়, গত তিন দিন আগে বাড়ি থেকে আসা ফারুক ইউপি সদস্য দবির মিয়ার কলোনিতে বসবাস করে ভাঙ্গারী ব্যবসা করে আসছিলেন। ভ্যান গাড়িতে বাড়ি বাড়ি থেকে পরিত্যাক্ত লোহালক্কড় সংগ্রহ করে বিক্রি করতেন। ঘটনার দিন তিনি ধলিপাঠলি গ্রামের আফতাব আলীর বাড়িতে ভাঙারি জিনিসপত্র ক্রয় করতে যান। এসময় একটি পরিত্যাক্ত ঘরে জমিয়ে রাখা লোহা, প্লাস্টিক বের করে আনতে তাকেই বলেন বাড়ির গৃহকর্তা। ঘরে প্রবেশের পর সে বের না হওয়ায় তারা উঁকি মেরে দেখতে পান সে মেঝেতে ছটফট করছে।
[৪] গৃহকর্তা রুবলে মিয়া জানান, তাকে (ফারুক মিয়া) অচেতন অবস্থায় আমরা ঘরের বাহিরে আনি। কি বুঝে উঠার আগেই মারা যায় সে। পরে বুঝতে পারি সে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে। ঘরের যেখানে যে পড়েছিল ওখানে বৈদ্যুতিক লাইন ছিড়ে পড়ে আছে।
[৫] খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসা ফারুক মিয়ার ভাই সোহেল মিয়ার দাবি, ঘটনার ধরণ দেখে বিষয়টি রহস্যজনক মনে হচ্ছে। এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ডও হতে পারে।
[৬] এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ পুুলিশ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) গোপেশ দাশ বলেন, আমরা মৃতদেহের সুরতহাল তৈরী করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্ত রির্পোট এলে প্রকৃত বিষয়টি বেরিয়ে আসবে। সম্পাদনা: সাদেক আলী