রাশিদুল ইসলাম : [২] চীনের সামরিক শক্তি সম্পর্কে প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনে পেন্টাগন বলেছে চীন তার পরমাণু অস্ত্র আধুনিকায়ন করছে এবং বাড়াচ্ছে। চীনের কাছে বর্তমানে ২০০’র কিছু কম পরমাণু অস্ত্র রয়েছে। সিএনএন
[৩] পেন্টাগন বলছে আগামী পাঁচ বছরে চীন আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা অনেক বেশি বাড়াবে যা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য উল্লেখযোগ্য মাত্রায় হুমকি হয়ে দেখা দেবে। এসব ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরমাণু ওয়ারহেড বহনে সক্ষম হবে।
[৪] চীন এরইমধ্যে জাহাজনির্মাণ, ভূমি-ভিত্তিক কনভেনশনাল ব্যালিস্টিক এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও সমন্বিত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসহ সামরিক সরঞ্জামাদি আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সমকক্ষ হয়েছে অথবা কোনো কোনো ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে গেছে।
[৫] পেন্টাগন বলছে চীন বিশে^র বৃহত্তম নৌবাহিনী গড়ে তুলছে। সাবমেরিন ও যুদ্ধজাহাজ সহ সাড়ে ৩’শ জাহাজ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ জাহাজের সংখ্যা ২৯৩টি।
[৬] চীনের প্রতিরক্ষা বাজেট গত বছর ছিল ১৭৪ বিলিয়ন ডলার এবং যুক্তরাষ্ট্রের ছিল ৬৮৫ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু পেন্টাগন বলছে চীনের সামরিক গবেষণা ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে এ বাজেটের পরিমান হবে ২’শ বিলিয়ন ডলার।
[৭] অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ এসোসিয়েশনের নিরস্ত্রীকরণ এবং ঝুঁকি হ্রাসকরণ বিভাগের মহাপরিচালক কিংস্টন রিফ পেন্টাগনের প্রতিবেদন সম্পর্কে বলেছেন, এই প্রতিবেদন সত্যি হলে রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র, চীনের চেয়ে তখনো পরমাণু অস্ত্রের দিক দিয়ে অনেক বেশি ক্ষমতাধর থাকবে। চীনকে নিয়ে অতিমাত্রায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মার্কিন অস্ত্র প্রতিযোগিতা আড়াল করা যাবে না।