মো. আখতারুজ্জামান: [২] করোনাকালে সংক্ষটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে দেশের তৈরি পোশাক খাত। এই সময়ে পোশাক শ্রমিকদের ভ‚মিকা নেয় প্রশ্ন তুলেছে পেশাক তৈরি কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। শ্রমিকদের এই দূর্দিনে কি সংবাদ সম্মেলন ও শিল্পকে দোষারোপ করা ছাড়া তাদের করার আর কিছুই নেই বলে জানায় সংগঠনটি। শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
[৩] বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৭ আগস্ট বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ যে তথ্য দিয়েছে তা বিভ্রান্ত কর। বিজিএমইএ বলছেন, বিলস জানিয়েছে, শ্রমিকদের সুরক্ষায় সরকার এক তরফ থেকে হেল্প লাইন, বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ’র তরফ থেকে স্বাস্থ্য সেবার উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও শ্রমিকদেও তুলনায় তা যৎসামান্য। বিজিএমইএয়ের প্রশ্ন হচ্ছে এই যৎসামান্য প্রচেষ্টার পাশাপাশি শ্রমিক সংগঠনগুলোও কেন এগিয়ে আসছে না? কেন শুধুমাত্র তারা সংবাদ সম্মেলন করে তাদের দায় এড়াতে চাইছেন?
[৪] শুধু তাই নয়, বিলসের অধিকাংশ তথ্য অসত্য ও মনগড়া এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তথ্যের ভুল ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনটিতে জনাব রিজওয়ানুল ইসলামের একটি মূল প্রবদ্ধ উপস্থাপন করা হয় এবং বিশ্লেষনে দেখা যায় যে বিলস্ এর প্রেস বিজ্ঞপ্তি’টির অধিকাংশ তথ্য এই মূল প্রবদ্ধ থেকে নেয়া হয়েছে, তবে তথ্যের ভুল ব্যাখ্যা ও উপস্থাপনার মাধ্যমে শিল্প ও জনসাধারনের মধ্যে একটি অহেতুক আতঙ্ক তৈরির অপপ্রয়াস করা হয়েছে। যা করোনাকালীন পরিস্থিতিতে আমাদের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টাকে কোনভাবেই সমর্থন করে না। বরং স্পষ্টতই কোন দূরভিসন্ধির ইঙ্গিত বহন করে। অন্যথায় এ ধরনের মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের পেছনে কোন যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা দাঁড় করানো দূরুহ।
[৫] বিজিএমইএ’র এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে যে এপ্রিল থেকে মে মাসে ৩৪৮টি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়েছে, যেখানে ৩২৪,৬৮৪ জন শ্রমিক চাকুরী হারিয়েছেন বলে অনুমান করা হয়েছে। এরুপ অনুমানের ভিত্তি হল ঈচউ এর একটি গবেষণা যেখানে কারখানা প্রতি শ্রমিক সংখ্যা ৯৩৩ উল্লেখ আছে।
[৬] বিলসের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, করোনাকালীন সংকটে এই খাতে বেকার হয়েছে প্রায় ৩ লাখ ২৪ হাজার ৬৮৪ জন শ্রমিক। মূল প্রবন্ধের অনুমান নির্ভর তথ্য এবং সমীক্ষার ৫০ শতাংশ অংশগ্রহণকারীর মতামতকে একটি বাস্তবতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার অপচেষ্টাকে কোন পর্যায়ের অপরাধ হিসেবে গণ্য করা উচিত, কর্তৃপক্ষের নিকট আমাদের সেই প্রশ্ন রইল।
[৭] বিজিএমইএ কর্তৃক পরিচালিত সাম্প্রতিক এক জরিপ অনুযায়ী করোনার পর এ যাবত ৯০টি কারখানা বন্ধ হয়েছে এবং ২৩টি কারখানা কিছু শ্রমিক ছাঁটাই করেছে। এ মোট ১১৩টি কারখানার মোট ছাঁটাইকৃত শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ৫১,৫০০ জন।
[৮] বিলস বলেছে, ৮৭টি কারখানায় শ্রমিক ছাঁটাই হয়েছে সাড়ে ২৬ হাজার। আবার লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল বাংলাদেশ কাউন্সিল আইবিসি’র মতে মোট ৮৭টি কারখানায় প্রায় ১২ হাজার শ্রমিক ছাঁটাই করা হয়। আমাদের প্রশ্ন ৮৭টি কারখানায় ছাঁটাইয়ের কোন তথ্যটি সত্য এই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিজিএমইএ।