খালিদ আহমেদ : [২] তুরস্কের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার এক টুইটে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আনাদলু
[৩] ওই টুইটে মন্ত্রণালয় জানায়, বৈরুত বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ বিএনএস বিজয় তুরস্কে নিয়ে আসা হচ্ছে। তুরস্কের নৌবাহিনীর অধীনে বিএনএস বিজয়ের প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হবে।
[৪] এ মাসের শুরুতে বৈরুত বন্দরে একটি গুদামঘরে মজুত করা বিপুল পরিমাণ অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বিস্ফোরিত হয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় পুরো এলাকা। পরপর দুইটি বিস্ফোরণে মারা যান ১৭০ জনেরও বেশি এবং আহত হন অন্তত ৬ হাজারের বেশি মানুষ।
[৫] নিহতদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও ছিলেন। বিস্ফোরক গুদামের নিকটবর্তী বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ বিজয়-এর ২১ জন সদস্য আহত হন।
[৬] গত ২০১০ সাল হতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করে আসছে। ভূ-মধ্যসাগরে মাল্টিন্যাশনাল মেরিটাইম টাস্কফোর্সের সদস্য হিসেবে বর্তমানে নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ বিজয় ইউনিফিলে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত রয়েছে।
[৭] এদিকে এ বিস্ফোরণের ঘটনায় সরকারের অবহেলা ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে ক্ষোভে ফেটে পড়ে লেবাননবাসী।
[৮] টানা বিক্ষোভে দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতি টালমাটাল হয়ে উঠে। পদত্যাগ করতে থাকেন একের পর এক মন্ত্রী ও এমপি। একপর্যায়ে লেবানন সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব
আপনার মতামত লিখুন :