হাসান বিন বাঙলা: এক দরিদ্র পরিবারের অসহায় তিন বোনকে প্রকাশ্যে সভা ডেকে বিচারের নামে জোরপূর্বক থুতু খাওয়ানো হলো। ঘটনাস্থল কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ছাটকড়াই বাড়ি গ্রামে। উল্লেখ্য, ছাটকড়াই বাড়ি গ্রামের নিকটবর্তী পাড়ের চর গ্রামের দুটি ছেলে ছাটকড়াই বাড়ি গ্রামে খালা বাড়ি বেড়াতে আসেন। সেই সুবাদে ছেলে দুটি নির্যাতিত অসহায় ওই মেয়ে তিনটির বাড়িতে আসেন। এসময় কিছু ধান্দাবাজ লোক তাদের আটক করে এবং ছেলে দুটি অবৈধ কাজে ওই বাড়িতে এসেছে- এই মর্মে ছেলে দুটির পরিবারের কাছে ১৮ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে ভোর রাতে ছেলে দুটির অভিভাবক টাকা নিয়ে আসলে নির্যাতিত ওই পরিবারকে ৫ হাজার টাকা দিয়ে বাকি ১৩ হাজার টাকা- ইনতাজল, জহরুল, মনিরুজ্জামান ও মিজানুর রহমান মেম্বার ভাগাভাগি করে নেন। পরবর্তী দিন ১৫ আগস্ট শনিবার সকাল ১০টায় জহরুল ইসলামের বাড়ির সামনে সালিশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম, আজাহার আলী, ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান, মোকছেদ দেওয়ানীর নেতৃতে উক্ত সালিশে প্রকাশ্যে বিচারের নামে তিন বোনকে জোর করে থুথু খেতে বাধ্য করা হয়। কী করা দরকার ওই সমাজপতিদের? আইন কি পারবে ওই তিনটি মেয়ের সামাজিক সম্মান ফিরিয়ে দিতে? আইন না পারবে এই নির্যাতিত তিন বোনের সামাজিক সম্মান ফিরিয়ে দিতে, না পারবে কক্সবাজারের চকরিয়ার মা-মেয়ের সামাজিক সম্মান ফিরিয়ে দিতে। এদের জন্য চাই পাল্টা সামাজিক বিচার এবং সেই বিচারে ওই সমাজপতিদের প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত সহ সকলকে থুতু খাওয়ানো। ফেসবুক থেকে