জেরিন আহমেদ: [২] সংশোধনের নামে নির্যাতনের অভিযোগ উঠছে বার বার। যশোরে নিহত তিন শিশুর একজন প্রাণ বাঁচাতে বয়স বাড়িয়ে কারাগারে যেতে চেয়েছিল। সমাজকর্মীরা বলছেন, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার এমন অনেক গল্প থেকে যাচ্ছে আড়ালেই। শিশুদের দেখভালে আরো মানবিক হওয়ার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নজরদারির দাবি তাদের।
[৩] শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ নতুন নয়। নিজেদের মধ্যে বিবাদ-মারপিট, কর্তব্যরতদের মারধর, নেশা জাতীয় দ্রব্যের অবাধ প্রাপ্তি, অধিকার ক্ষুন্ন হওয়াসহ নানা কারণে বার বার গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে কেন্দ্রগুলো। বছর চারেক আগে টঙ্গী শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে মুক্তি পাওয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কিশোরের বক্তব্যে স্পষ্ট সেখানকার অনাচার।
[৪] নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী কিশোর বলেন, 'বড়ভাইয়েরা মিলে ভয় দেখায়। যদি কোনো ভুল পায় অনেক মারে। স্যারেরাও জড়িত আছে না হলে এত ক্ষমতা ওরা পায় না।'
[৫] সমাজসেবা অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের সংখ্যা তিনটি। মেয়ে শিশুদের জন্য পরিচালিত কেন্দ্রে কিশোরীদের সংখ্যা ঠিক থাকলেও ছেলে শিশুদের দুটি কেন্দ্রেই ধারণ ক্ষমতার চাইতে বাসিন্দার সংখ্যা দ্বিগুণ। এছাড়া জনবলেরও কমতি রয়েছে প্রতিটিতেই।
[৬] সমাজসেবা অধিদপ্তর সাবেক মহাপরিচালক গাজী মোহাম্মদ নুরুল কবির বলেন, 'শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে যে ৩ শিশু মারা গেছে সেটি অবশ্যয় দুঃখজনক। সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে, আমাদেরও জনবলের সংকট আছে।' সময় টিভি, এন টিভি, সম্পাদনা: রাশিদ রিয়াজ
আপনার মতামত লিখুন :