শিমুল মাহমুদ: [২] বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক উপদেষ্টা প্রফেসর মোজাহারুল হক আরও বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে আমরা কৌশল নির্ধারণ করতে পারিনি। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। সম্বনয় ছিলো না।
[৩] তিনি বলেন, মানুষ সচেতন; কিন্তু উদ্বুদ্ধ নয়। আমরা জনগনকে একবারেই সম্পৃক্ত করিনি; তবে সমস্যা মোকাবেলা করতে শিখিয়েছি। তারা সচেতন; তবে মাস্ক পরছে, শারীরিক দূরত্ব মানছে- এতোটা মোটিভেটেড না। আরেকটা ব্যর্থতা হলো আইন প্রয়োগ করে করোনা নিয়ন্ত্রণে মানুষকে বাধ্য করা সম্ভব হয়নি।
[৪] আইইডিসিআরের সাবেক মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অধ্যাপক ডা. বেনজির আহমেদ বলেন, আমরা প্রথম দফা করোনা নিয়ন্ত্রণ করার কাছাকাছিও নেই। এতোদিন মানুষ নানা বিধিনিষেধ মেনে চলেছে। এখনও সীমিত আকারে বিধিনিষেধ আছে। দীর্ঘদিন জনগণ ত্যাগ স্বীকার করলো, বহুলোক চাকরিচ্যুত হলো, নানা সমস্যায় পড়লো; সেটা থেকে তারা ফলটা পেলো কি?
[৫] আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মোশতাক হোসেন বলেন, কেউ কেউ বলছে- জুন মাসে পিক হয়ে গেছে। পিক টাইম হলে শনাক্ত ৫ শতাংশে নেমে আসে- সেটা হচ্ছে না। মাঝে কয়েক দিন সংক্রমণ কম থাকলেও আবার ধীরে ধীরে বাড়ছে।
[৬] তিনি বলেন, মূলত বাংলাদেশে কৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে একটা, কাজ হয়েছে আরেকটা। কিছু গাফিলতি ছিলো। যার কাছে প্রশাসনিক ক্ষমতা ছিলো তিনি হয়তো ভেবেছেন প্রশাসনিক ক্ষমতায় সব করে ফেলবেন। টেকনিকেল নলেজ ওয়ালাও একই কথা ভেবেছেন। সম্পাদনা: সিরাজুল ইসলাম