ডেস্ক রিপোর্ট : টানা উত্থানের পর দু’দিন বাজারের ছন্দপতনের কারণে সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। লেনদেনেও হিসাবি হয়েছেন তারা। বাজারচিত্র বুঝে বিনিয়োগ করছেন এসব বিনিয়োগকারী। যে কারণে লেনদেনও আগের চেয়ে কমে গেছে। গত দু’দিনের বাজারচিত্রে এমনই দেখা যায়। শেয়ার বিজ
গতকালের বাজারচিত্রে দেখা যায়, সকাল থেকেই লেনদেনের চাপ কম ছিল। ওষুধ ও রসায়ন, ব্যাংকিং এবং বস্ত্র খাতের শেয়ার ছাড়া অন্য খাতগুলোর শেয়ারে তেমন চোখ ছিল না বিনিয়োগকারীদের। তবে আগামীতে বাজার কেমন যাবে সেই বিষয় মাথায় রেখে সীমিত লাভেও শেয়ার বিক্রি করেছেন বিনিয়োগকারীরা। এক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। মূলত বেশকিছু দিন আগে থেকেই এ খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারে লাভে ছিলেন বিনিয়োগকারীরা। গতকাল এ ধরনের বিনিয়োগকারীরাই বেশি শেয়ার ছেড়েছেন। যে কারণে দিন শেষে এ খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর কমলে লেনেদেন আধিপত্য দেখা যায় এ খাতের। গতকাল মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান ছিল ২৫ শতাংশের বেশি।
এদিকে গতকাল ওষুধ ও রসায়ন খাতের পরের অবস্থানে ছিল ব্যাংক খাত। তুলনামূলকভাবে অন্য খাতের তুলনায় গতকাল এ খাতের শেয়ারে লেনদেনের চাপ কিছুটা বেশি ছিল। সে কারণে দিনের প্রথমভাগে এসব শেয়ারদর বাড়লেও দিনের শেষভাগে এ খাতের অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর কমে। তবে মোট লেনদেনে খাতটির সন্তোষজনক লেনদেন চোখে পড়ে। গতকাল দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান ছিল ১৪ শতাংশ। অন্যদিকে মোট লেনদেনে ১০ শতাংশ অবদান রেখে এর পরের অবস্থানে ওঠে আসে বস্ত্র খাত। একইভাবে গতকাল বিমা কোম্পানির শেয়ারদর কমলেও এ খাতের কোম্পানির তেমন লেনদেন হতে দেখা যায়নি। মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান ছিল সাত শতাংশ।
এদিকে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক অবস্থানের কারণে গতকাল লেনদেনও ছিল গতানুগতিক। দিন শেষে ডিএসইতে মোট ৯৩৭ কোটি টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। আর সূচক অবস্থান করে আগের স্থানে। গতকাল দিনের একটা ভাগে সূচক বাড়লেও শেষ দিকে এসে সূচকের পতন শুরু হয়। ফলে দিন শেষে সূচক অবস্থান করে চার হাজার ৭৯৪ পয়েন্টে। আগের কার্যদিবসেও সূচক একই স্থানে অবস্থান করছিল
আপনার মতামত লিখুন :