লিহান লিমা: [২] সোমবার নিউজিল্যান্ডের হাইকোর্টে শুনানির জন্য হাজির করা হয়েছে দেশটির ক্রাইস্টচার্চের দুইটি মসজিদে হামলাকারী ব্র্যান্টন ট্যারন্টকে (২৯)। স্কাই নিউজ
[৩]২০১৯ সালের ১৫ মার্চের এই হামলায় ৫১জন নারী, পুরুষ ও শিশুকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন অস্ট্রেলিয়ান বংশোদ্ভুত ট্যারন্ট। তার বিরুদ্ধে আরো ৪০জন প্রার্থনারতকে হামলার চেষ্টা এবং সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রথমে আল নূরে শুক্রবারে প্রার্থনারতদের হামলা এবং পরে লিনউডে হামলা চালায় ট্যারন্ট। এই হামলায় স্তুম্ভিত হয়ে পড়ে বিশ্ব। নিউজিল্যান্ড তাদের অস্ত্র আইন পরিবর্তন করে।
[৪]আদালতে ট্যারন্ট বলেছে, ক্রাইস্টচার্চের দুই মসজিদে হামলা চালানোর পর সে অ্যাশবার্টনের আরেকটি মসজিদের দিকে হামলা চালানোর জন্য যায়। ওই সময়ই পুলিশ তাকে আটকে দেয়। হামলার পর পুলিশকে দেয়া সাক্ষাতকারে সে বলেছে, ‘আমি দুইটি মসজিদে যত বেশি মানুষকে সম্ভব হত্যার চেষ্টা করেছি।’
[৫]বিচারক বার্নাবি হাওস বলেন, এই শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদীর হামলার পর মসজিদ পুড়িয়ে ফেলার ইচ্ছে ছিলো। আদালতে ট্যারন্ট তার সন্ত্রাসী হামলার ব্যাখ্যায় বলেছিলেন, তিনি আদর্শগত বিশ্বাস থেকে এই হামলা চালিয়েছেন। তিনি মনে করেন, এই মুসলিম বহিরাগতরা অন্যায্যভাবে ইউরোপে প্রবেশ করেছে।
[৬]শুনানির সময়ে ট্যারন্টের মুখোমুখি ছিলেন হামলার শিকার হওয়া ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের সদস্য। ওই ঘটনা স্মরণ করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছিলেন তারা। আল নূর মসজিদের ইমাম গামাল ফোউদা ট্যারন্টের চোখে চোখ রেখে বলেন, ‘তুমি ভুল পথে গিয়েছো। তোমার চোখে সন্ত্রাসবাদ ফুটে উঠেছে। তোমার এই ঘৃণা বিশ্ব সম্প্রদায়কে আরো একত্র করেছে।’ ভুক্তভোগী আশরাফ আলির পুত্র বলেন, ‘বাবা এখনো ট্রমায় রয়েছেন। চারদিকে শুধু রক্ত তার মৃতদেহ দেখতে পান।’ বিবিসি
[৫]এই শুনানি চার দিন যাবত চলবে। আগামী দিনে আরো ৬০ জন ভুক্তভোগী ও ক্ষতিগ্রস্তরা তাদের বিবৃতি দেবেন। জামিনের কোনো সুযোগ প্রদান ব্যতিত বিচারক ক্যামেরুন মান্ডার তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিতে পারেন। নিউজিল্যান্ডে আগে কখনো এই মাত্রার সাজা হয় নি।