কূটনৈতিক প্রতিবেদক: [২] প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, করোনাত্তর পরিস্থিতিতে শ্রমবাজারের পরিবর্তিত চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে কর্মী পাঠানোর লক্ষ্যে কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
[৩] রোববার জনশক্তি কর্মসংস্থান প্রশিক্ষণ ব্যুরোর উদ্যোগে ‘আই অ্যাম জাপান’ প্রোগ্রামের আওতায় জাপানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আট জন টেকনিক্যাল ইন্টার্নের দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে সংবর্ধনা ও চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, সরকার অনগ্রসর জেলাগুলো থেকে অধিক সংখ্যক কর্মী বিদেশে পাঠানোর ওপরে গুরুত্বারোপ করেছে।
[৪] তিনি বলেন, জাপানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত টেকনিক্যাল ইন্টার্নরা বাংলাদেশের শিল্পোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন। দেশে বিদেশে আধুনিক প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতিনির্ভর শিল্প প্রতিষ্ঠানে তাদের চাকুরির সম্ভাবনা রয়েছে।
[৫] জাপানিজ ভাষায় অধিকতর দক্ষতা অর্জন করায় তাদেরকে জাপানিজ ভাষার প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে প্রশিক্ষক হিসেবে যুক্ত করার চিন্তাভাবনা করছে সরকার।
[৬] প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মাসংস্থান মন্ত্রণালয় ও ‘আই অ্যাম জাপানের’ সঙ্গে সমঝোতা চুক্তির আওতায় এপর্যন্ত ১৪৪ জন টেকনিক্যাল ইন্টার্ন জাপান গেছেন।
[৭] জাপানের প্রোগামে প্রশিক্ষণকালীন পারিশ্রমিক হিসেবে তারা মাসিক ১ লাখ ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ ৯০ হাজার জাপানিজ ইয়েন বেতন পেয়েছেন। এ তিন বছরে তারা প্রত্যেকেই বাংলাদেশি মূদ্রায় প্রায় ৪৩ থেকে ৫৪ লাখ টাকা উপার্জন করেছে। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব
আপনার মতামত লিখুন :