মুনশি জাকির হোসেন: জিয়া সরাসরি ১৫ আগস্ট ঘটিয়েছিলেন এটি যেমন বলার সুযোগ আছে, তেমন জিয়া ঘটনা জেনেও নিরব ছিলেন ঘটনার পরে সবচেয়ে বেশি বেনিফিশিয়ারি ছিলেন জিয়া এটিও নিরেট সত্য। শুধু নিরব থেকেও যে অনেক কিছুই করা সম্ভব সেটির উদহারণ জিয়া। তবে ক্ষমতা ধরে রাখতে যেয়ে জিয়া যে সকল ঠাণ্ডা মাথার খুন পরিচালনা করেছে সেগুলো জাতির সামনে আজও প্রকাশ পায়নি। মিলিটারি এস্টাব্লিশমেন্ট হয়তো এটি চাচ্ছে না। শত শত আর্মি অফিসারের লাশ কোথায় কেউ জানে না। ২১ আগস্ট তারেক রহমান সরাসরি গিয়ে গ্রেনেড মেরেছিলেন এটি আমি বলছি না। তবে তারেক রহমান ঘটনা জানতেন, সকল কিছুর এন্তেজাম করেছিলেন এবং ২১ আগস্টের মিশন সফল হলে তারেক রহমান হতো সবচেয়ে বেশি বেনিফিশিয়ারি। আজকে ভিন্ন বাংলাদেশ থাকত। পঁচাত্তরের মতো রাজনীতিতে আরেকটি ভ্যাকুয়াম তৈরি হতো।
২১ আগস্ট সফল না হওয়াতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছিলো শিবির। জজ মিয়া নাটককে ছাত্রদলের কেউ তেমন বিশ্বাস করতো না, কেউ ডিফেন্ডও করতো না। অথচ শিবিরের কর্মী, সমর্থকেরা জজ মিয়া নাটক মনে-প্রাণে বিশ্বাস করতো। শুধু ২১ আগস্টই নয়, ২০০১-২০০৬ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকদের উপর যে পৈশাচিক, নারকীয় তাণ্ডব চলতো তার বিরুদ্ধে অনেক নন-আওয়ামী লীগার, বাম সে সময়ে আওয়ামী লীগের পাশে দাঁড়িয়েছিল। ঘটনাচক্রে গত ১০ বছরে তাদের অনেকেই বর্তমান সরকারের পুলিশ, ছাত্রলীগের হাতে নির্যাতিত, নিগ্রহের শিকার হয়েছে। এটিই পলিটিক্যাল প্যারাডক্স। পঁচাত্তর পূর্ববর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুর পাশের অনেকেই তার নিরপাপত্তা নিয়ে বিচলিত ছিলেন না। যেটি অনেক বাম রাজনৈতিকদের মধ্যে ছিলো। বর্তমানে শেখ হাসিনার চারপাশে আওয়ামী লীগের যে বলয় আছে তারাও শেখ হাসিনার নিরাপত্তা নিয়ে ততোটা বিচলিত নন। ফেসবুক থেকে