তাপসী রাবেয়া : [২] রাখাইন রাজ্যবিষয়ক পরামর্শক কমিশনের সব সুপারিশ বাস্তবায়নের মাধ্যমেই সমাধান সম্ভব।
[৩] বাংলাদেশ সরকার ও জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) যৌথ নিবন্ধন মতে, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিবন্ধিত প্রতি ১০ জন রোহিঙ্গার মধ্যে ৯ জন বাস করে বাংলাদেশে। এই মহানুভবতার প্রতিদান হিসেবে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় বাংলাদেশি জনগণের জন্য নিরন্তর সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।
[৪] সংস্থাটি বলছে, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসনের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে প্রয়োজন সর্বস্তরের অংশগ্রহণ, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ ও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে নতুন করে কার্যকরী আলোচনার সূত্রপাত, পাশাপাশি দুই পক্ষের মধ্যে আস্থা তৈরির পদক্ষেপ ।
[৫] ইউএনএইচসিআর জানায়, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের চলাফেরার ওপরে বিধি-নিষেধ প্রত্যাহার, অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদেরকে তাদের নিজ গ্রামে ফেরার সুব্যবস্থা এবং রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব পাওয়ার বিষয়ে একটি পরিষ্কার রোডম্যাপ প্রয়োজন ।
[৬] সংস্থাটি জানায়, বাংলাদেশ ও পৃথিবীর অন্যান্য দেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মানসিক শক্তি ও প্রত্যয় তিন বছর ধরে কাজ করছে মানবিক কর্মকাণ্ডের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাহস ও মনোবলকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে আমরা কাজ করে যাবো, যেন পৃথিবী তাদের ভুলে না যায়।
[৭] শুক্রবার এক বিবৃতিতে এসব তথ্য তুলে ধরে ইউএনএইচসিআর । সম্পাদনা : রায়হান রাজীব