দেবদুলাল মুন্না: [২] ইউনিভার্সিটি অব বন ও ইনস্টিটিউট অব ওরিয়েন্ট অ্যান্ড এশিয়ান স্টাডিজের রিসার্চ ফেলো মারুফ মল্লিক গতকাল এ কথা বলেন। তার এ কথার ভিত্তি জানতে হলে চাইলে তিনি বলেন, বন বিশ্ববিদ্যালয় ‘ নিউ স্লেভ এন্ড ক্যাপিটেলিজম’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য রয়েছে যা প্রকাশিত হয়েছে চলতি বছরের জুনে। জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৯৪৮ থেকে প্রতিবছর ২৩ আগস্ট পালিত হয় আন্তর্জাতিক দাসপ্রথা বিলোপ দিবস।
[৩] মারুফ মল্লিক বলেন, ১৯ শতকের তুলনায় এখন দাসের দাম বরং কমেছে। ওই সময় যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামায় একজন দাস কিনতে ১ হাজার ২০০ ডলার ব্যয় হতো। এখনকার মূল্যমানে ৩০ থেকে ৪০ হাজার ডলারের সমমান। আর এখন? ৯০ থেকে ১০০ ডলার বা ৬০ থেকে ৭০ ইউরোতেই শ্রমদাস পাওয়া যাচ্ছে। অথচ দাসপ্রথা বিলোপের জন্য প্রায় ২৫০ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্র লড়াই করেছিল।
[৪] তিনি বলেন, তবে সমাজতাত্তি¡ক গবেষণায় এখন ‘দাস’এর সংজ্ঞাও পাল্টেছে। এখন দাস বলতে বোঝায় কোনো কর্তৃপক্ষ বেকারত্বের সুযোগ নিয়ে কতো কম দামে একজন মানুষের শ্রম কিনতে পারে যাতে ওই শ্রম বিক্রি করা মানুষটি যে শ্রেণী অবস্থানে তাকবে সেখানেই রয়ে যাবে। কিন্তু অবস্থার উন্নতি ঘটবে না।
[৫] দিনি জানান, জলবায়ুজনিত ঝুঁকির কারণে বাংলাদেশে কর্মসংস্থানহীন মানুষগুলো অসহায় হয়ে পড়ছে বেশি।
আপনার মতামত লিখুন :