আসাদুজ্জামান বাবুল: [২] গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী এস এম এস্কেন্দার আলী ব্যক্তিগত কারন দেখিয়ে বশেমুরবিপ্রবি ৪৯ কম্পিউটার চুরির ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য পদ হতে পদত্যাগ করেছেন।
[৩] এর ৩ দিন আগে গত বুধবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বিবিদ্যায়ের সহকারী রেজিষ্ট্রার তদন্ত কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম হীরাকে সু-নিদৃষ্ট কারন ছাড়াই তদন্ত কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
[৪] গত ৯ আগস্ট গঠিত ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটিকে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
[৫] ঈদের ছুটির মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির পেছন দিকের জানালা ভেঙে ৪৯ টি কম্পিউটার চুরি করে নেয় চোরেরা।
[৬] গত ১০ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. প্রফেসর নূরউদ্দিন আহমেদ বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা করেন।
[৭] এরপর তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে গত ১৩ আগস্ট ঢাকার ক্রিস্টাল ইন হোটেল থেকে চোরাইকৃত ৪৯টি কম্পিউটারের মধ্যে ৩৪টি কম্পিউটার উদ্ধার করে গোপালগঞ্জের পুলিশ। এ সময় গ্রেপ্তার করা হয় দুলাল ও হুমায়ুন কবির নামে ২ জন চোরকে।
[৮] পরে প্রযুক্তির সহায়তায় গোপালগঞ্জ ও নড়াইল থেকে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী মাসরুল ইসলাম পনি শরীফসহ ৫ জন চোরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
[৯] চুরির ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে গ্রেফতারকৃত ৭ জন চোরের মধ্যে ৫ জন চোর গত ১৫ আগস্ট গোপালগঞ্জের সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারকের কাছে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করে। এরপর তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
[১০] উল্লেখ থাকে যে, বশেমুরবিপ্রবি ৪৯ কম্পিউটার চুরির ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির একজন সদস্যকে কোনো কারন ছাড়াই বাদ দেয়া ও আরেকজন সদস্যর পদত্যাগের বিষয়টি জনমনে নানান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :