সুজিৎ নন্দী : [২] ঢাকা শহরের যানজট কমাতে সাতরাস্তা থেকে উত্তরা পর্যন্ত ১১টি ইউটার্ন (লেন পরিবর্তন করতে ভূমিতেই গাড়ি ঘোরানোর জায়গা) নির্মাণে কাজ কোভিড-১৯ স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে আসলে চালু হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থ বরাদ্দ না আসার কারণে বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
[৩] প্রকল্পটি ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয়ে ২০১৭ সালের জুন মাসের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিলো। পরবর্তিতে ২০১৯ সালে ডিসেম্বরে শেষ হবার জন্য সময় বাড়ানো হয়। তবে প্রকল্প করে শেষ হবে তা নির্ধারণ করার হয়নি।
[৪] ইউটার্ন প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোর কাছ থেকে জমি বুঝে না পাওয়ায় অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ১১টি ইউটার্ন নির্মাণের কাজ। প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় জমির মধ্যে সড়ক ও জনপথের ৩১ দশমিক ২৫ বিঘা, রেলওয়ের ১ দশমিক ৬১ বিঘা এবং সিভিল এভিয়েশনের ১ দশমিক ৮৩ বিঘা জমি রয়েছে।
[৫] প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সংস্থাগুলোর কাছে জমি ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হলে তাদের কাছ থেকে এক ধরনের নীতিগত অনুমোদনও মেলে। কিন্তু এগুলো নির্মাণের কাজ শুরু করলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের বাধায় তা আটকে গেছে।
[৬] বর্তমানে উত্তরার র্যাব-১ এর কার্যালয় ও রাজলক্ষ্মী কমপ্লেক্সের কাছে কিছুটা কাজ হয়েছে। বাকি নয়টি জায়গায় নির্মাণকাজ বন্ধ আছে। কাজটির অগ্রগতি সম্পর্কে প্রকল্প পরিচালক ও ডিএনসিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহবুুব আলম বলেন, প্রকল্পটি রিভাইজ করা হচ্ছে। কাজটির জন্য সড়ক ও জনপথসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাাগুলোর কাছ থেকে জমি পাওয়ার একটা আশ্বাস আমরা পেয়েছিলাম। এক ধরনের সমঝোতার ভিত্তিতে কাজও শুরু হয়েছিল। কিন্তু পরে হয়নি। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ