নূর মোহাম্মদ : [২] বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সময় কামানের ছোড়া গোলার আঘাতে মোহাম্মদপুরের শেরশাহ সুরী রোডে ১৩ জন নিহত ও প্রায় অর্ধশত আহত হয়। এই ঘটনার ২১ বছর পর মামলা হলেও নিম্ন আদালতে এখনো তা বিচারাধীন। ২০০৬ সালে এ মামলায় ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এদের মধ্যে ছয় জনের বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। ৫৩ জনের মধ্যে গত ১৩ বছরে মাত্র ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
[৩] সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, স্বাক্ষী হাজির করা পাবলিক প্রসিকিউটরদের (পিপি) দায়িত্ব। কেন স্বাক্ষী আসছে না সেটা তাদেরকেই খুজে বের করতে হবে। এত দিনেও বিচার শেষ না হওয়ায় মূলত পিপিদের গাফিলতি আছে বলেই মনে করেন এই জ্যেষ্ঠ আইনজীবী।
[৪] রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও ঢাকা মহানগর পিপি আব্দ্ল্লুাহ আবু বলেন, আমরা চেষ্টা করছি, স্বাক্ষী না পাওয়া গেলে তো কিছু করা যায় না। খোঁজ নিয়ে স্বাক্ষীদের বিরুদ্ধে সমন পাঠানোর ব্যবস্থা করবো। এরপরও স্বাক্ষী আর না পাওয়া গেলে সাক্ষ্য গ্রহণ বন্ধ করে দেব এবং বিচার শেষ করার জন্য বলবো। আশা করছি দ্রæত সময়ে বিচার নিষ্পত্তি হয়ে যাবে।
[৫] ২০০১ সালের এপ্রিলে সিআইডি আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেয়। এরপর ২০০৭ সালের ১৯ মার্চ বাদীর প্রথম জবানবন্দী গ্রহণ করা হয়। সর্বশেষ গত বছরের ২২ জানুয়ারি পুলিশের এএসপি মুন্সী আতিকুর রহমান সাক্ষ্য দেন। এরপর সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বার বার তারিখ ধার্য হলেও কোন সাক্ষী আদালতে হাজির হয়নি। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।