তরিকুল ইসলাম : [২] বিদেশে থাকা খুনিদের ফেরাতে কূটনৈতিক তৎপরতার পাশাপাশি চলছে আইনি প্রক্রিয়া। তবুও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না থাকায় খোদ সরকারের মধ্যেই ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
[৩] বিদেশে পলাতক সব খুনির অবস্থান এখনো চিহ্নিত করতে না পারায় এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
[৪] তিন খুনির অবস্থান নিয়ে এখনো ধোয়াশা কাটেনি। দু’জনকে ফেরাতে পরামর্শক নিয়োগ।
[৫] নুর চৌধুরীকে কানাডা থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টার অংশ হিসেবে কানাডার সঙ্গে তথ্য বিনিময় চুক্তি করতে প্রস্তাব দিয়েছিলো বাংলাদেশ। তবে সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটি।
[৬] বঙ্গবন্ধুর খুনিদের অনুসন্ধানে প্রবাসীদের আহবান জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘১২ জনের মধ্যে পাঁচজন ছাড়া সবার বিচার নিশ্চিত করেছি। পাঁচ জনের মধ্যে দুজনের খবর আমরা জানি। তাদের আইনের কাঠগড়ায় দাড় করানোর চেষ্টায় আছি’।
[৭] ‘আমি ব্যক্তিগত ভাবে খুবই আশাবাদী, মুজিব বর্ষেই আমরা সেটি করতে সক্ষম হবো। তাদের অনুসন্ধান করার জন্য ইতোমধ্যে বাংলাদেশের সকল বৈদেশিক মিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে’ বলেও জানান তিনি।
[৮] পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের টপ ইস্যূ হচ্ছে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় দণ্ড পাওয়া খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে আদালতের রায় বাস্তবায়ন করা। আনফরচুনেটলি ফিরিয়ে আনার বিষয়টা এতোটাই জটিল যে গত কয়েক বছরে কাউকেই বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে পারিনি।
[৯] এই বিষয়টা আমাদেরকে পিড়া দেয়। অন্তত রাশেদ চৌধুরী এবং নুর চৌধুরীর ক্ষেত্রে আমরা অনেকটা এগিয়েছি। বাকিদের বিষয়ে আমাদের আরো কাজ করতে হবে। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ