তপু সরকার হারুন : [২] শেরপুর জেলা শহরের পৌরসভার মাধবপুর মহল্লার মহসিন স্কয়ার এর বাসিন্দা সু-পরিচিত মরহুম কাজী মহসীন এর বড় ছেলে। মোঃ রেজাউল করিম ওরফে মুক্তা (৬৮) করোনা ভাইরাস সংক্রমণ (কোভিড-১৯) এ আক্রান্ত হয়ে রাজধানী ঢাকার গ্রীণ লাইফ মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২ আগস্ট বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় মৃত্যুবরণ করেছেন, ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন । এ নিয়ে শেরপুর জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বেসরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৯ জন। এবং সরকারি হিসাবে মৃত্যুর সংখ্যা ৫ জন।
[৩] জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শেরপুর পৌরসভার মাধবপুর মহল্লার বাসিন্দা মোঃ রেজাউল করিম ওরফে মুক্তার করোনা উপসর্গ দেখা দিলে পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গত ৩০ জুলাই বৃহস্পতিবার করোনা ভাইরাস সংক্রমণ (কোভিড-১৯) পজিটিভ শনাক্ত হয়।
[৪] পরে তাকে পরিবারের সদস্যরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার গ্রীণ লাইফ মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতালে ভর্তি করেন। শেষ পযর্ন্ত ১৩ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনার সাথে যুদ্ধ করে অবশেষে বুধবার মৃত্যু বরন করেন ।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে মোঃ রেজাউল করিম মুক্তাসহ জেলায় ৫ জনের মৃত্যুর বিষয়টি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের করোনা ফোকাল পারসন এবং সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মোবারক হোসেন নিশ্চিত করেছেন।
[৫] তিনি দীর্ঘদিন ব্যাবসায়ী কালে দেখেছি কথা বললে মুখে হাস্যে উজ্জল সুন্দর ভাবে কথা বলতেন । উনার মুখের হাসিটা ছিল শেরপুরের হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীর অভিবাবকের আর্কষণ । আমি নিজেও –এক-সময় বাবার সাথে ছাত্র অবস্থায় যেতাম,। তখনো দেখেছি সেই মুক্তা কাকার সুন্দর হাসি । যখন আমি বাবা , অভিবাবক হয়ে মেয়েকে নিয়ে কর্ণফুলি পেপার হাউজে দোকানে যেতাম, ঠিক সেই ৩০ বছর আগের হাসিটায় দেখতাম । উনাদের একটি প্রাইভেট স্কুল ছিল( যুয়েল্ একাডেমী ) মেয়ে এবং ছেলে ২জন কে সেখানে পড়াতাম সে-সুবাধে একদিন ,সে স্কুলের খাতা, ডায়রি নিতে গিয়েছি , মুক্তা কাকা ক্যাশে বসা ছিলেন , আমি গিয়ে বললাম ,একটি পাকুরিয়া খাতা দিন রহিম ভাই । মুকতা কাকা মুখ মেরে হাসি দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে রয়েছে । হে উনারা পাকুরিয়ার লোক বলেই দূষ্টমি করে বলেলিাম একটি পাকুরিয়া খাতা দিন । তিনি অত্যান্ত হাস্যে উজ্জল একজন ধার্মীক মানুষ ছিলেন । উনার আরো ৩ ছোট ভাই ২য় জনও,মোঃ ফজলুল করিম (তোতা) এখনো করোনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে রয়েছেন , ৩য় জন মোঃ জামিনুল করিম (ছানা) ৪র্থ জন মোঃ সেরাজুল করিম (পনির) মূলত ৪ ভাই একই সাথে বসবাস করেন । সত্যি বলতে এ-পরিবার টি অত্যান্ত সদালোপী এবং সব সময় সবার সাথে সুন্দর বাচন বঙ্গিমায় কথা বলেন । শুধু তাই নয় পুরো পরিবারের একটি বড়গুন হলো , চারপাশের অসহায় মানুষদের পাশে সব ছায়াঁ দিয়ে রাখতো ।
[৬] শহরের শত শত ব্যবসায়ী থেকে সাধারন মানুষদের মনে যেন এক শোকের ছায়া নেমে এসেছে । জেলার শীর্ষ ব্যাবসায়ী সমিতি শেরপুর চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ড্রাষ্টি এরই মধ্যে শোকবার্তা দিয়েছেন। পরিশেষে এ-পরিবারের জন্য সবার কাছে দোয়া দোয়া কামনা করছি । এবং মোঃ রেজাউল করিম ওরফে মুক্তা কাকার জন্য দোয়া করবেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি ।
[৭] জনাব মুক্তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন, জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আতিউর রহমান আতিক এমপি ও জেলার শীর্ষ ব্যাবসায়ী সমিতি শেরপুর চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ড্রাষ্টি ও শেরপুর জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি শরিফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিন ।