আশরাফ আহমেদ: [২] টানা ভারী বর্ষণ ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে প্রত্যন্ত চরাঞ্চল সহ বিভিন্ন এলাকায় চলতি মৌসুমে আমন ধান রোপণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন চাষীরা। অন্যান্য বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে ধানের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ধান চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের।
[৩] সংশ্লিষ্ট কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৬ টি ইউনিয়নে আমন ধান রোপনের অর্জিত লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৩শত হেক্টর জমিতে। ইতোমধ্যে উপজেলার উঁচুএলাকায় প্রায় এক তৃতীয়াংশ আমন রোপন করা হয়েছে।
[৪] সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার পুমদি, শাহেদল, গোবিন্দপুর, আড়াইবাড়িয়া ইউনিয়নের গ্রাম গুলোতে আমন রোপন প্রায় শেষ পর্যায়ে। তবে জিনারী ইউনিয়নের চর কাটিহারী , চর হাজিপুর সিদলা ইউনিয়নের সাহেবের চর , চর বিশ্বনাথপুর গ্রামে বন্যা দেখা দেওয়ায় শুরু করতে পারছে না আমন রোপনের ব্যবস্থা।
[৫] আমন ধানের বীজতলা, অনেক ফসলি জমি বন্যারপানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে বীজের চারার অভাবে আমন রোপনে বাধাগ্রস্ত হবে চাষীরা। কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এবছর জমিতে তারা বিনা সেভেন ৮, হাইব্রিড বিধান -৭ ,২৮ ,২৯ ,৪৯, ৫২, বায়ার কোম্পানির ধানী গোল্ড ,তেজ ও পেট্রোকেম কোম্পানির পাইওনিয়ার এগ্রো-১২ জাতের ধান রোপন করছেন।
[৬] উপজেলার জিনারী ইউনিয়নের চরহাজিপুর গ্রামের আমন ধান চাষী নজরুল ইসলাম, চর বিশ্বনাথ গ্রামের রফিক মিয়া, সিদলা ইউনিয়নের সাহেবের চর গ্রামের কামরুল ইসলাম সহ অনেকেই জানান, বন্যায় অনেক ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। ফলে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। তাই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য আমন ধান রোপণ করছি অধিকাংশ জমিতে। আরো অনেক জমিতে রোপণ করা বাকি আছে। তারা আরো জানান, জমিতে ব্রি- হাইব্রিড জাতের ধান সহ অন্য ধান রোপন করছেন।
[৭] হোসেনপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. ইমরুল কায়েস জানান, এই চলতি মৌসুমে ধানের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আমন চাষে আগ্রহী হচ্ছে কৃষক। তবে উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আমন রোপন হবে বলেও জানান তিনি। সম্পাদনা: সাদেক আলী