আসিফুজ্জামান পৃথিল : [৩] বিক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্টে প্রবেশের চেষ্টা করলে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি সামাল দিতে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, মঙ্গলবার বৈরুতে হওয়া ভয়াবহ বিস্ফোরণের কারণ সরকারের অবহেলা। আল জাজিরা, বিবিসি
[৪] বিস্ফোরণে অন্তত ১৫৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং প্রায় ৫ হাজার মানুষ আহত হন। সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন প্রায় ২,৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বন্দরের কাছে অনিরাপদভাবে মজুদ করে রাখা ছিল ২০১৩ সাল থেকে।
[৫] ঐ বিস্ফোরণে রাজধানী বৈরুতের অনেক এলাকা সম্পূর্ণ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, এই ঘটনার তদন্তের অংশ হিসেবে এরই মধ্যে ১৬ জনকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে নেয়া হয়েছে। বিস্ফোরণের পর থেকে দুইজন কর্মকর্তা ও একজন এমপি পদত্যাগ করেছেন।
[৬] জর্ডানে লেবাননের রাষ্ট্রদূতও পদত্যাগ করেন। পদত্যাগ করার সময় তিনি মন্তব্য করেন, এই বিপর্যয় বুঝিয়ে দিয়েছে যে নেতৃত্বে বড় ধরনের পরিবর্তন প্রয়োজন।
[৭] বন্দরের প্রধান এবং কাস্টমস বিভাগের প্রধান বলেছেন, তারা বিচার বিভাগের কাছে একাধিকবার এই রাসায়নিক, বিদেশে রপ্তানি করার বা বন্দর এলাকা থেকে সরিয়ে দেয়ার আবেদন জানিয়ে চিঠি লেখেন।
[৮] বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার হাসান কোরায়তেম ওটিভি'কে বলেন যে মজুদ করা মালামাল বিপদজনক, তবে তা যে এই মাত্রার বিপদজনক তা জানা ছিল না তাদের। সম্পাদনা: ইকবাল খান