আবদুন নূর তুষার: অপরাধের প্যাটার্ন বের করা হলো ক্রিমিনোলজি ও ফরেনসিক সায়েন্স এ সিরিয়াল অপরাধী ধরবার একটা কায়দা। প্রশ্নবিদ্ধ গোলাগুলোর পরে আহত ও নিহতদের সাথে মাদকদ্রব্য আবিষ্কার একটি প্যাটার্নে পরিণত হয়েছে। সকল অপরাধী কি একই ধরনের মাদকসেবন করে? মাদকসেবন করার কারণে তাকে গুলি করা কি ন্যায়সংগত হয়ে যায়? গুলি করার সময় অপরাধীকে নিষ্ক্রিয় করার জন্য গুলি করা ও হত্যা করার জন্য গুলি করার মধ্যে তফাত আছে। গাড়ি থেকে চেকপোস্টে যিনি নেমে এসেছেন তাকে কি হত্যা করার জন্য গুলি করা যুক্তিসংগত? এ ধরনের প্রশ্ন উর্দ্রেককারী ঘটনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নীতিনিষ্ঠ কর্মীরা কারণ মানুষ তাদের ভালো কাজগুলোকেও সন্দেহের চোখে দেখে।
আমি অসংখ্য সাহসী ও নীতিবান পুলিশ অফিসারদের চিনি। যারা এ ধরনের ব্যাড পাবলিসিটিতে বিব্রত হন। তাই উন্নত দেশের মতো পুলিশের সাথে বডিক্যাম ও সকল গাড়িতে ড্যাশক্যাম রাখা বাধ্যতামূলক করা হোক। তাতে আমরা বাহিনীর সদস্যদের বীরত্বপূর্ণ অভিযানগুলোর আসল ভিডিও দেখতে পাবো। এএক্সএন-এর মতো এসব নিয়ে পুলিশ স্টোরিজ নামে অ্যাডভেঞ্চার টিভি অনুষ্ঠানও বানানো যাবে ও চ্যানেলে দেখানো যাবে ঢাকা অ্যাটাকের মতো। আর যদি কেউ অন্যায় করে তার বিষয়েও সাথে সাথে জানতে পারবে সবাই। (এসব নেটফ্লিক্সে ছবি দেখলে বা মাসুদ রানা পড়লেই শেখা যায়। বডিক্যাম দেখার জন্য আবার ১২ কর্মকর্তাকে বিদেশে পাঠানোর প্রকল্প বানানোর দরকার হয় না।) ফেসবুক থেকে