আর মুরশেদ আহমেদ : নবীর (সা) সুন্নাতের অনুসরণে মুসলিমরা কুরবানির মাংসের তিনভাগের অন্তত একভাগ দান করে থাকেন। কেউ কেউ আরো বেশিও করেন।
গড় হিসেবে যদি ধরি একটা গরু থেকে ১৫০ কেজি গোশত পাওয়া যায়, তাহলে গরুপ্রতি ৫০ কেজি দান করা হয়। কেজিপ্রতি ৫০০ টাকায় যার বাজারমূল্য ২৫০০০ টাকা। গত বছর বাংলাদেশে গরু কোরবানি হয় ৪২ লাখ। গরুপ্রতি ২৫ হাজার হিসেবে ১০.৫ হাজার কোটি টাকা। এর বাইরে যে ৬৮ লাখ ছাগল কোরবানি করা হয় সেটা হিসেবে আনলে আরো অন্তত ২.৫ হাজার কোটি টাকা যোগ হবে। মানে ১৩ হাজার কোটি টাকা। চামড়া দান করা হয় সেটা ধরলামই না।
মাত্র একটা দিনে মুসলিমরা ১৩ হাজার কোটি টাকার চ্যারিটি করে শুধুমাত্র আল্লাহকে খুশি করার জন্য। এটার জন্য কোন ফান্ড রেইজ করে না, পুরোটা নিজের পকেট থেকে দেয়। কারো প্রশংসা চায় না, ব্র্যান্ডিং চায় না, কোন এওয়ার্ড চায় না। আর এটা একবার না, প্রতি বছর করে।
অথচ জাজমেন্টের ক্ষেত্রে আমরা দেখি উল্টোটা হয়। সেকুলার কেউ দু-চার লাখ টাকা ফান্ড রেইজ করে চ্যারিটি করলে সেটা নিউজ, সোস্যাল মিডিয়া, মুখে মুখে ভাইরাল হয়ে যায়। আর কুরবানির সময় উলটো জিগির উঠে, পশুপ্রেম উতলে ওঠে। অথচ এই পশুগুলো বন থেকে ধরে আনা হয় নি, এগুলো পোষাই হয়েছে কুরবানির জন্য। এটা একটা ইন্ডাস্ট্রি, এগ্রো-ইন্ডাস্ট্রি।