নিজস্ব প্রতিবেদক : [২] দেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী সংস্থা বলা যায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে। এর কারণটা আর্থিক উপার্জনের দিক থেকে। কেননা, বাজেটের অভাবে অন্যান্য ফেডারেশন যেখানে নিয়মিত খেলাধুলা আয়োজন হিমশিম খায় সেখানে প্রায়ই নিজেদের সকল চাহিদা শতভাগ পূরণ করে অন্য ক্রীড়া ফেডারেশনকে সহায়তা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
[৩] করোনাকালেও বিভিন্ন ফেডারেশনের প্রায় ১ হাজার ক্রীড়াবিদকে সহায়তা করেছে বিসিবি। বিসিবি’র প্রধান আয়ের উৎসব টিম স্পন্সর, সিরিজ স্পন্সর, টিভি স্বত্ব, মাঠে বিজ্ঞাপন। তবে সবচেয়ে বড় আয়ের উৎস আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) থেকে পাওয়া লভ্যাংশের ভাগ।
[৪] সেই আয়ের ভাগ আইসিসি প্রতিবছর তাদের সব সদস্য দেশের তহবিলে পাঠিয়ে দেয়। সেখান থেকে বিসিবি পাচ্ছে ১ হাজার ৮৮ কোটি টাকা। আইসিসি’র পূর্ণ সদস্য দেশগুলো এই আয়ের শতকরা ৮৬ ভাগ অর্থ পায়। সহযোগী সদস্য দেশগুলোর কাছে যায় বাকি শতকরা ১৪ ভাগ।
[৫] তবে পূর্ণ সব সদস্য দেশগুলোও আবার এই শতকরা ৮৬ ভাগ সমান ভাগে পায় না। যেসব দেশের কারণে আয়ের যোগান বেশি হয় তাদের ভাগের পরিমাণটা বেশি। আর এই তালিকার শীর্ষে আছে ভারত। মূলত আইসিসি’র আয়ের প্রধান উৎসও টিভি স্বত্ব। ২০১৫ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আইসিসি তাদের টিভি স্বত্ব বিক্রি করেছে স্টার ইন্ডিয়ার কাছে।
[৬] এই টিভি স্বত্ব থেকে পাওয়া আয়ের অর্থই আইসিসি তাদের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ভাগ করে দেয়। যার শতকরা ২২.৮ ভাগ পাচ্ছে ভারত একাই। আইসিসি’র মোট আয়ের শতকরা ৭.২ ভাগ পায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যার আর্থিক মূল্য ১২৮ মিলিয়ন ডলার।
[৭]বাংলাদেশি মুদ্রায় এই পরিমাণটা দাঁড়ায় ১ হাজার ৮৮ কোটি টাকা। প্রতি বছর আইসিসি’র বার্ষিক আয়-ব্যয়ের পরে এই খাত থেকে টাকা পায় বিসিবি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৬০ কোটি টাকার কাছাকাছি।