সাদেক আলী: [২] দেশের ১৭ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি ঘটায় গো-খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে এ সময় কোরবানির পশুর জন্য অতিরিক্ত খাবার প্রয়োজন হচ্ছে। তবে অতিরিক্ত খাবার তো দূরের কথা ন্যূনতম খাবারও পাচ্ছে না কোরবানির পশু। খড়ের গাদা পানিতে ডুবে নষ্ট হচ্ছে, মাঠের আবাদি ঘাসও ডুবে গেছে। উঁচু জমিতে যে ঘাস ছিল অতি বৃষ্টির কারণে সেগুলোর গোড়া পচে গেছে। ফলে গো-খাদ্যের তীব্র সংকটে কোরবানির পশুর স্বাস্থ্যহানি ঘটছে। ঠিকমতো খাবার দিতে না পেরে ৮০ হাজার টাকার গরুর দাম এখন ৬০ হাজারে নেমেছে।
[৩] বগুড়ার ধুনট উপজেলার উল্লাপাড়া গ্রামের কৃষক হেলাল খান বলেন, এবার বোরো মৌসুমে প্রতিদিন বৃষ্টির কারণে ধান গাছের অর্ধেক কাটতে হয়েছে। সেটাও অতিবৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে। ওই সময় ধান শুকানো নিয়েই বেশি ব্যস্ত ছিলেন গৃহস্থরা। বৃষ্টি কারণে বলা চলে বোরো ধানের খড় প্রায় সব নষ্ট হয়েছে। এখন বন্যার কারণে অনেকের ঘাসের জমি পানির নিচে। অনেক গৃহস্থ উঁচু জমিতে ঘাস করেছিল, সেখানে এখনো পানি উঠেনি। কিন্তু প্রতিদিন বৃষ্টির কারণে ঘাসের গোড়া পচে গেছে। ফলে ঘাসের গোড়া থেকে আর কুশি জন্মাচ্ছে না।
[৪] তিনি বলেন, যারা কোরবানির জন্য মোটাতাজা করেছেন সারাবছর ধরে এখন সে গরু তাদের গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গরুগুলোকে ঠিক মতো খেতে দিতে পারছে না আবার দাম কমের কারণে বিক্রিও করতে পারছে না।
[৫] নেত্রকোনা সংবাদদাতা বলেন, বন্যায় গো-খাদ্যের সংকটে পড়েছেন কলমাকান্দা উপজেলার আটটি ইউনিয়নের বানভাসি মানুষ ও খামারিরা। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ উঁচু বাঁধ ও রাস্তার ধারে নিরাপদ স্থানে গবাদিপশু সরাতে পারলেও পশুখাদ্য সরাতে পারেননি। গবাদিপশুর একমাত্র খাদ্য খড় বন্যার পানিতে পচন ধরেছে, আবার কোথাও ভেসে গেছে। এ কারণে গবাদিপশুর খাদ্য নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন তারা।
[৬] গো-খাদ্য সংকটের কথা স্বীকার করে কলমাকান্দা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোস্তফা কামাল বলেন, উপজেলায় এখন পর্যন্ত গবাদিপশুর খাদ্য সরকারিভাবে বরাদ্দ নেই। আমরা ইতিমধ্যেই মেডিকেল টিম করে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় গবাদিপশুর চিকিৎসা দিয়ে আসছি। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠিয়েছি। সূত্র: জাগোনিউজ