দেবদুলাল মুন্না: [২] গত বুধবার কানাডার ফেডারেল আদালত বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র অভিবাসী বা শরনার্থীদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করে। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার আধুনিক সীমানা কার্যক্রম নীতির আওতায় ২০০৪ সালের ৫ ডিসেম্বর 'নিরাপদ তৃতীয় রাষ্ট্র চুক্তি' (সেফ থার্ড কান্ট্রি অ্যাগ্রিমেন্ট) নামে একটি চুক্তি সই হয়েছিল। কিন্তু তারা শরণার্থীদের নিরাপত্তা দিতে পারে না। তাই এ চুক্তিটি অসাংবিধানিক । সূত্র বিবিসি
[৩] বিবিসি জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মধ্যে ২০০৪ সাল থেকে বজায় রয়েছে সেফ থার্ড কান্ট্রি এগ্রিমেন্ট। এই চুক্তির আওতায় কোনো আশ্রয়প্রত্যাশী প্রথম যে দেশে পৌঁছবে সেদেশেই আশ্রয়প্রার্থনার অনুরোধ করতে বাধ্য। বুধবার কানাডার ফেডারেল আদালতের এক বিচারক রায় দিয়েছেন, চুক্তিটি অসাংবিধানিক। কেননা, যুক্তরাষ্ট্র শরণার্থীদের কারাবন্দী করে রাখার আশঙ্কা রয়েছে।
[৪] চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে বাধ্য হওয়া শরণার্থী নাদিরা জামাল মুস্তফা আদালতকে জানান, সেখানে তাকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। সে অভিজ্ঞতা ছিল ভয়ঙ্কর, নিঃসঙ্গ ও মানসিকভাবে পীড়াদায়ক।
[৫] কানাডিয়ান এসোসিয়েশন অব রিফিউজি লয়ার্স’র প্রেসিডেন্ট মরিন সিলকফ বিবিসিকে বলেন, আমরা সবাই জানি যুক্তরাষ্ট্র আশ্রয়প্রার্থীদের সঙ্গে কিরকম আচরণ করে। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন অভিবাসন প্রত্যাশীদের উপর কঠোর দমন অভিযান চালিয়ে আসছে।