লাইজুল ইসলাম : [২] উত্তরা হাসপাতালের খোঁজ নিয়ে জানা গেছে কোনো লাইসেন্স নেই তাদের। এই অবস্থায় তারা রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে।
[৩] হাসপাতালটিতে কেবিন আর সাধারণ শয্যার পাশাপাশি আছে তথাকথিত আইসিইউ। তবে তা পরিচালনা করছেন ওয়ার্ডবয় ও নার্সরা। উত্তরার এই হাসপাতালে দালালদের খপ্পরে পড়ে ঢাকার বাইরের বেশির ভাগ রোগী। ভুক্তভোগীরা বলেন, রোগীদের হাসপাতালের বেডে শুইয়ে রাখা হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলে গেলেও আসেনা কোনো চিকিৎসক। বিভিন্ন রিপোর্টের কাগজ ধরিয়ে দেওয়া হয়। বিল দেওয়া হয় বিশাল অংকের।
[৪] হাসপাতালটির মালিকের বিরুদ্ধেও বিস্তর অভিযোগ করেন কয়েকজন চিকিৎসক। তারা বলেন, হাসপাতালটির অংশীদারিত্ব দেওয়ার কথা বলে বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন উসামা আমিন। পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ ডা. মাহাবুবুর রহমান সিকদার বলেন, ২০১৬ সালে তার থেকে অংশিদারিত্বের নামে ২৭ লাখ টাকা নিয়েছেন। এরপর আর হাসপাতালের মালিকের খোঁজ তিনি পাননি। পরে ডা. মাহবুব জানতে পারেন এই হাসপাতলের কোনো রেজিষ্ট্রেশন নাই। হাসপাতালের মালিক উসামা আমিনের বিরুদ্ধে থানায় মামালাও করেছেন তিনি।
[৫] বিএমএ’র কাউন্সিল সদস্য ডা. হুমায়ূন কবির কিছুদিন আল-আশরাফ হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। তিনি বলেন, হাসপাতালের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। তারা বলেন, হাসপাতাল চালাতে কোনো কাগজ লাগবে না। তাদের প্রভাবেই চলবে হাসপাতাল ।
[৬] আরও কয়েকজন ভুক্তভোগী একাত্তর টিভিকে বলেন, ৪৫ শতাংশ শেয়ার দিবেন বলে তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন মালিক। হাসপাতালের কোনো বৈধ কাগজ না থাকায় টাকা ফেরতের জন্য চেষ্টা করছেন তারা।
[৭] হাসপাতালটির হিসাবরক্ষক আরিফ হোসেন বলেন, তার কাছে হাসপাতালের কোনো কাগজ নেই। সব কাগজ তিনজন ডিরেক্টরের কাছে। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব