লিহান লিমা: [২] আপিল কোর্ট বলেছেন, সরকারের নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লড়াই করতে যুক্তরাজ্যে ফিরতে পারবেন সিরিয়ার শরণার্থী শিবিরে থাকা আইএস-বধূ শামীমা বেগম। বিবিসি
[৩] ২০১৫ সালে ১৫ বছর বয়সে লন্ডন থেকে তিন স্কুলশিক্ষার্থীসহ আইএসে যোগ দিতে সিরিয়া পালিয়ে গিয়েছিলেন শামীমা। ২০১৯ সালে শরণার্থী শিবিরে তার সন্ধান পাওয়ার পর ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে তার নাগরিকত্ব বাতিল করে।
[৪] বৃহস্পতিবার এক রায়ে ব্রিটেনের আপিল কোর্ট বলেন, শামীমা মামলার ন্যায্য রায় পাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন কারণ, শরণার্থী শিবিরে থেকে তিনি তার পক্ষের বক্তব্য রাখার সুযোগ পান নি। এদিকে আদালতের রায়ের পর ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বলেছে, এই সিদ্ধান্ত ‘খুবই হতাশাজনক’, আমরা এই রায়ের পুর্নবিবেচনার জন্য আপিলের আবেদন করবো।’
[৫] শামীমার আইনজীবী ড্যানিয়েল ফুর্নার বলেন, শামীমা তার নিজের কথা বলার সুযোগ কখনোই পান নি। তিনি ব্রিটিশ বিচার বিভাগের সম্মুখীন হতে ভীত নন, তিনি এর জন্য প্রস্তুত। কিন্তু তার বক্তব্য না শুনেই তার নাগরিকত্ব বাতিল করা ন্যায়বিচারের বিপরীত। শামীমা বলেছেন, নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ কারণ এটি তাকে রাষ্ট্রহীন করবে। দ্য গার্ডিয়ান
[৬] এর আগে দেয়া এক রায়ে ব্রিটেনের আদালত বলেছিলো, শামীমার নাগরিকত্ব বাতিল অবৈধ নয় কারণ তার মা বাংলাদেশি নাগরিক বিধায় জন্মসূত্রে শামীমা বাংলাদেশি নাগরিকত্বের দাবিদার। সম্পাদনা: ইকবাল খান