কূটনৈতিক প্রতিবেদক : [২] আর্টিকেল-১৯ এর বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুক ফয়সাল জানান, ২০১৪ সালে ৬ বছরের জন্য নিয়োগ পাওয়া ডেভিড কায়ি’র মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় নতুন করে নিয়োগের নাম প্রস্তাবের আহবান জানানো হয়।
[৩] লম্বা তালিকা থেকে বাছাই পর্বে চূড়ান্ত শর্ট লিস্টে আইরিন খান এক নম্বরে রয়েছেন।
[৪] তিনি প্রথম নারী, প্রথম বাংলাদেশী, প্রথম এশীয় এবং প্রথম মুসলিম হিসেবে ২০০১ সালে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ৭ম মহাসচিব হন।
[৫] আগামী বৃহস্পতি অথবা শুক্রবার জেনেভায় জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের বৈঠক রয়েছে। এতে বিভিন্ন সদস্য দেশগুলো অংশ নিবে।
[৬] প্রেসিডেন্ট বৈঠকে নাম প্রস্তাব করবেন এবং সেখান থেকেই চূড়ান্ত হবে সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা কে এই সৌবাগ্যবান। তবে, আইরিন খানের নাম ওই তালিকায় এক নম্বরে থাকায় তার বিশেষ দূত হওয়ার সম্ভবনা অনেকাংশেই এগিয়ে রয়েছে।
[৭] ফারুক ফয়সল বলেন, আইরিন খান অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাবেক মহাসচিব থাকাকালীন সময়ে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার মানবাধিকার পরিস্থিতি ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় ছিলেন বেশ সরব। যদি তিনি জাতিসংঘের এই দায়িত্ব পান সেটি এই অঞ্চলের পরিস্থিতি উন্নয়নে আরও জোড়ালো হবে বলেই আমি আশা করি।
[৮] বর্তমানে ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ল অর্গানাইজেশনের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করা সিলেটের মেয়ে আইরিন জুবাইদা খানের জন্ম ২৪শে ডিসেম্বর, ১৯৫৬ সালে।
[৯] তিনি ১৯৮০ সালে যোগ দেন জাতিসংঘের হাইকমিশনার ফর রিফিউজিসে লিগ্যাল অফিসার হিসেবে। ২১ বছর পর উপপরিচালক হিসেবে এই চাকরি বদল করেন।